চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জাতিসংঘের রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করল মিয়ানমার

রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর গণহত্যা চালানোয় মিয়ানমারের শীর্ষ সেনাকর্মকর্তাদের উপর আরো তদন্ত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের বিচারের জন্য জাতিসংঘের দেয়া রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির সরকার।

সরকারের মুখপাত্র জ হতে বলেন, হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের কোনো সমাধানের সঙ্গে মিয়ানমার একমত নয় বা তা গ্রহণও করবে না।

এর আগে জাতিসংঘের রিপোর্টের প্রতি নিন্দা জানায় চীনও। তাদের দাবি মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ করা কখনোই সহায়তামূলক নয়।

জ হতে আরো বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনে মিয়ানমারের জিরো টলারেন্স। সোমবার প্রকাশিত জাতিসংঘের রিপোর্টের পরে তার বক্তব্য দেশটির সরকারের বক্তব্য।

গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের স্টেট নিউজ আউটলেটে তিনি বলেন, আমরা জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন বা এফএফএমকে মিয়ানমারে প্রবেশ করতে দিবো না। মিয়ানমারের একটি নিজস্ব স্বাধীন তদন্ত কমিশন রয়েছে; যারা জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মিথ্যে অভিযোগের প্রতিক্রিয়া দেবে।

এর আগেই মিয়ানমার সেনাদের কিছু ভুলের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করেছে।

চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের একটি গভীর অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এর আগে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেন, রাখাইনের ঐতিহাসিক, ধর্মীয় এবং নৃগোষ্ঠীগত পটভূমি খুবই জটিল। একতরফা সমালোচনা এবং ক্রমাগত তাদের উপর চাপ দেয়া কখনোই সমস্যা সমাধানে সহায়তামূলক নয়।

গত বছরের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে রাখাইন রাজ্যের প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে।

মিয়ানমারের দাবি, রোহিঙ্গারা অবৈধ অভিবাসী। যারা দেশটির নিরাপত্তা ও বৌদ্ধদের উপর হামলা করছিল।

জাতিসংঘের একটি বিস্তারিত রিপোর্টে মিয়ানমারের সেনাপ্রধানসহ ছয় বড় সেনাসদস্যের প্রতি গণহত্যার অভিযোগ এনে তা তদন্তের দাবি জানায়। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়েরের কথাও বলা হয়।

গত বছরের এই সহিংসতা কয়েক দশকের একটি ভয়াবহ বিপর্যয় বলেও উল্লেখ করা হয় ওই রিপোর্টে।

জ হতে এমন অভিযোগের বিষয়ে ফেসবুকের প্রতিও তাদের কঠিন অবস্থানের কথা জানিয়ে বলেন, এই সব অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট ও পেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।