পর্যটকরা অন্য দিনের মতো সৈকতে অলস ঘোরাফেরা করেননি। বিকেল হতেই তারা কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সিগাল পয়েন্টে জড় হতে শুরু করেন। স্থানীয় মানুষরাও হাতের কাজ সেরে সিগাল পয়েন্টমুখী হতে থাকেন। সবার উদ্দেশ্যে একটাই রানার-চ্যানেল আই বিচ ফুটবল।
বৃহস্পতিবার ছিল দুটি ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে মোহামেডান মাস্টার্স ৭-৪ গোলে হারায় চট্টগ্রাম মাস্টার্সকে। দ্বিতীয় ম্যাচে আবাহনী মাস্টার্স ৬-২ গোলে উড়িয়ে দেয় ব্রাদার্স মাস্টার্সকে।
বাংলাদেশের ফুটবল এবং পৃথিবীর দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে আরও জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ও ওয়াফ (ফুটবলের জন্য আমরা)-এর সহযোগিতায় চ্যানেল আই আয়োজন করে চ্যানেল আই বিচ ফুটবল। এবার হচ্ছে ষষ্ঠ আসর। জাতীয় দল এবং বিভিন্ন ক্লাবের সাবেক তারকা ফুটবলাররা অংশ নেন এই টুর্নামেন্টে।
আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী বিচ ফুটবল তিন কোয়ার্টারে হয়। প্রতি অর্ধে ১২ মিনিট করে সময় থাকে। কিন্তু রানার -চ্যানেল আইয়ের এই আয়োজনে প্রতি অর্ধ হচ্ছে ১০ মিনিট করে।
প্রথমদিন দুই ম্যাচে দুটি করে হ্যাটট্রিক হয়েছে। প্রথম ম্যাচে তিন গোল করেন মোহামেডান মাস্টার্সের নুরুল হক মানিক। নুরুল হক এক সময় অনূর্ধ্ব-১৬ জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। এই ম্যাচে জোড়া গোল করেন জাতীয় দলের এক সময়ের তারকা স্ট্রাইকার আলফাজ উদ্দিন।
রামু থেকে খেলা দেখতে চলে আসেন মুদি দোকানী জব্বার শেখ। মাইকে প্রচারের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন প্রথমদিন মোহামেডান মাস্টার্স খেলবে। সেই দলে রয়েছে আলফাজ। তাই বিকেল চারটা থেকে সিগাল পয়েন্টে ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন।
‘আলফাজের খেলা তো সেই কবে দেখেছি। যখন শুনলাম আবার তারা খেলবে লোভ সামলাতে পারিনি। সঙ্গে ছোট ছেলেকেও নিয়ে এসেছি,’ এই প্রতিবেদককে বলছিলেন ফুটবলপ্রেমী জব্বার শেখ।
দ্বিতীয় ম্যাচে ব্রাদার্সের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন আবাহনীর জাকির। ম্যাচটিতে প্রথম কোয়ার্টারে আবাহনী ৩-১ গোলে এগিয়ে ছিল। জাকির এ সময় দুটি গোল করেন। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে তিনি হ্যাটট্রিক পূরণ করেন। এই সময়ে ৫-১ গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। শেষ কোয়ার্টারে আরিফ খান জয়ের ছোট ভাই শুভ্র আরেকটি গোল করে আবাহনীকে ৬-১ গোলে এগিয়ে দেন। ব্রাদার্সের রঞ্জন আরেকটি গোল শোধ দিয়ে ব্যবধান ৬-২ করেন।
১৬ মার্চ টুর্নামেন্টের দ্বিতীয়দিন। এদিন চারটি ম্যাচ। প্রথম ম্যাচ সকাল দশটায়।
ছবি: ওবায়দুল হক তুহিন