চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

চুমু থেকে চুম্বন দিবস

ভ্যালেন্টাইন উইকের ষষ্ঠ দিনটি পালন করা হয় ‘কিস ডে’ হিসেবে। অর্থাৎ চুমু খাওয়ার দিন। সে দিনটি আজ। এদিন আবার ভালোবাসার রং ছড়ানো পহেলা ফাল্গুনও।

প্রাচীনকাল থেকে ভালোবাসার গভীরতা চুম্বনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। চুমু হলো ভালোবাসা প্রকাশের সবচেয়ে শক্তিশালী ভাষা।

Bkash July

ধারণা করা হয়, আদিম যুগে মানুষ যখন গুহায় বসবাস করতো তখন থেকেই চুমুর আদান-প্রদান শুরু। মা তার সন্তানের খাবার চিবিয়ে নরম করে মুখে দিয়ে দিত। তখন থেকেই চুম্বন স্নেহের এবং ভালোবাসার চিহ্ন হয়ে ওঠে যা মা-শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রচলিত হয়।

প্রাচীন একটি ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে উদ্ভূত তত্ত্বে বলা আছে, খ্রিস্টপূর্ব ২000 সালে মানুষ তাদের আধ্যাত্মিক সংযোগ বজায় রাখার জন্য একে অপরের মুখ একত্রিত করতো। ভারতীয়দের সংস্কৃতিতেও এমন বিশ্বাস ছিল যে প্রশ্বাস হলো আত্মার একটা অংশ। আর দুজন মানুষ যদি তাদের ঠোঁট এক করে তাহলে তারা একে অপরের আত্মার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে। অর্থাৎ আত্মার সঙ্গী হয়ে যাবে।

Reneta June

কিস ডে

তৃতীয় শতাব্দীতে কামসূত্রের একটি সম্পূর্ণ অধ্যায় ছিল ভালোবাসার মানুষটিকে চুম্বন করার কায়দা-কানুন সম্পর্কে। ষষ্ঠ শতাব্দীতে ফ্রান্সে নাচ ছিল ভালোবাসা প্রকাশের একটি মাধ্যম। আর প্রতিটা নাচ শেষ হতো চুমু দিয়ে। বিয়েতে চুমু দেয়ার প্রচলন সর্বপ্রথম শুরু হয় রাশিয়ায়। বিশ্বাস করা হয়, প্রতিজ্ঞাগুলোকে চিরস্থায়ী বাঁধনে বেঁধে ফেলে চুমু। রোমানরা একে অপরকে অভিবাদন করতো চুমু খেয়ে। রোমান সাম্রাজ্যই পৃথিবীজুড়ে স্নেহ ও ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে চুমুর প্রচলন প্রসারিত করে।

মনের যে অনুভূতি মুখের ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, তা খুব সহজেই প্রকাশ করা যায় চুমুর মাধ্যমে। একারণেই ‘কিস ডে’ পালিত হয়। ‘কিস ডে’ সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডে উদযাপিত হয়। বাংলাদেশে এই দিবসটি তেমন জনপ্রিয় না হলেও পাশ্চাত্যে এর তাৎপর্য রয়েছে।

পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে আয়োজন করা হয় চুম্বন প্রতিযোগিতার। সেখানে প্রতিযোগীদের দীর্ঘ সময় ধরে চুম্বনে আবদ্ধ থাকতে হয়। যে জুটি সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চুম্বনে আবদ্ধ থাকতে পারে জয়ী হয় তারাই।

ISCREEN
BSH
Bellow Post-Green View