
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন: প্রধানমন্ত্রী আমাদের যেভাবে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। সেইভাবে আওয়ামীলীগ কাজ করছে। দেশের যে দৃশ্যমান উন্নয়ন সে বিষয়ে বলার কিছু নেই। আমরা খালেদা জিয়ার মত ভিত্তি প্রস্তরের রাজনীতি করি না। আমরা যেমন ভিত্তি প্রস্তর দেই, তেমনি তা উন্মোচনও করি।
আজ সোমবার বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত হল সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে লিটন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর তৈরি ছাত্রলীগ। মুক্তিযুদ্ধের সময় লড়াই সংগ্রাম করেছে। বাংলাদেশ তৈরিতে ভ্যানগার্ডের কাজ করেছে ছাত্রলীগ। আর এই ছাত্রলীগে থেকে খারাপ কাজ করা চলে? এই ছাত্রলীগে থেকে কি চাঁদাবাজি করা সাজে? এই ছাত্রলীগ হবে সর্বস্তরের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের। তারা ভাই বোনের মত সহযোগিতা করবে। কেউ হলে সিট না পেলে তার সিট করে দিবে, খাবার না পেলে খাবারের ব্যবস্থা করবো’।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ছাত্রলীগ কর্মীদের আদর্শিক কর্মী হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। বাংলাদেশে ১ লক্ষ ৭০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। সজীব ওয়াজেদ জয় ছাত্রলীগের আছে উদাত্ত আহ্বায়ন জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সবুজ, পরিষ্কার এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে’।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘আজকের এই হল সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের অনেক ত্যাগী, ছাত্রবান্ধব নেতা উঠে আসবে যারা নিজের জন্য কাজ না করে শিক্ষার্থীদের জন্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য, দেশের জন্য কাজ করবে। আমরা এমন কোনো কাজ করবো না যাতে শেখ হাসিনার উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হয়’।
অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কোন জায়গা নাই যেখানে শিবির ক্যাডাররা ছাত্রলীগের কর্মীদের রক্তে এই মাটি রঞ্জিত করে নাই। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও শিবির ক্যাডাররা ছাত্রলীগের ওপর অত্যাচার কোনভাবেই বন্ধ করেনি। তারা সংগঠিত হয়ে বিভিন্ন জায়গায় তাদের কূট-কৌশল এবং পাকিস্তানীদের মদদপুষ্ট জঙ্গিবাদীদের কাছ থেকে অস্ত্র ও ট্রেনিং নিয়ে ছাত্রলীগের ওপর আক্রমণ করে। তারা যেন সামনে এক বিন্দু দাঁড়াতে না পারে। নিজেদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে এই মাটি থেকে তাদের বিতারিত করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে ড. শামসুজ্জোহা হলের সাধারণ সম্পাদক বরজাহান আলী ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান খান নাহিদের যৌথ সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ড. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা, ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি খালিদ হাসান নয়ন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ হিল বারী, সহ-সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সাদ্দাম, আহসান হাবীব বাপ্পী, শফি আজাদ বান্টি ও প্রদীপ কুমার সাহা পিংকু, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস প্রমুখ।