সনাথ জয়সুরিয়ার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছিল আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট, আকসু। শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়কের বিরুদ্ধে তথ্য গায়েব, তদন্তে সহযোগিতা না করা ও দেরি করার মতো অভিযোগ। বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে আকসু জানিয়েছিল, কোড অব কন্ডাকটের ২.৪.৬ এবং ২.৪.৭ ধারায় অভিযুক্ত জয়সুরিয়া। যার কারণে কড়া শাস্তি হতে পারে তার।
সেটাই হল। ক্রিকেট থেকে ২ বছরের জন্য তাকে নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। মঙ্গলবার ‘মাতারা হারিকেন’ খ্যাত এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা করে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ক্রিকেট সম্পর্কিত যাবতীয় সব কর্মকাণ্ডে নিষিদ্ধ থাকবেন জয়সুরিয়া। আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়েই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে তাকে। জয়সুরিয়া সব অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে আইসিসি।
বিশ্বকাপজয়ী শ্রীলঙ্কান এই সাবেক তারকা বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ, বিভিন্ন সময় তদন্তে সহযোগিতা করেননি। অনেক ক্ষেত্রে তথ্য পর্যন্ত গায়েব করে দিয়েছেন। বারবার বলার পরও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেননি। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকার সময়ই তিনি এইসব কাজ করেছেন।
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
অভিযোগের সমস্ত প্রতিবেদন শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করে আকসু। তবে কারা এ তদন্তের সঙ্গে জড়িত সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি তারা।
সেসময় জয়সুরিয়াকে ১৪ দিনের মধ্যে এসব অভিযোগ খণ্ডানোর সুযোগ দেয় আকসু।
অভিযোগের পরেরদিনই অবশ্য মুখ খোলেন এ লঙ্কান সাবেক তারকা। জানান, ক্রিকেটের বিষয়ে সৎ ও স্বচ্ছ থেকেছেন তিনি। তখন সংবাদ বিবৃতিতে নিজেকে নির্দোষও দাবি করেন জয়সুরিয়া। কোনো দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এবং তার বিরুদ্ধে গুরুতর কোনো অভিযোগ আনা হয়নি বলেও দাবি করেন।
সাবেক এ বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান বিবৃতিতে জানান, ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন বিষয়ে সবসময় সৎ এবং স্বচ্ছ থেকেছি। আমার ওপর ম্যাচ ফিক্সিং, মাঠের উইকেট ফিক্সিং কিংবা এ ধরণের দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কোনো অভিযোগ তারা পায়নি। আর এ কারণে তারা আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতিদমন ইউনিটকে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছে।
২০১৭ সালে পদত্যাগের আগে দুই দফায় শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক ছিলেন জয়সুরিয়া। প্রথমদফা দায়িত্বের শেষ টেনে ২০১৩ সালে সরে দাঁড়ান, ২০১৫ বিশ্বকাপের পর আবারও প্রধান নির্বাচকের পদে বসেন ‘মাতারা হারিকেন’ খ্যাত এ মারকুটে ব্যাটসম্যান। সেসময়ে দল নির্বাচন নিয়ে প্রবল আপত্তি ওঠায় দুই বছর পর পুরো কমিটিসহ দ্বিতীয়দফা পদত্যাগ করেন তিনি।