‘কর্কশ বাংলাকে ওভারকাম করার চেষ্টা আছে অনুবাদের এই বইগুলোতে’
প্রিন্ট পোয়েট্রি প্রকাশনা সংস্থার ইন্টারভিউ সিরিজের প্রথম কিস্তিতে এসেছে ছয়টি সাক্ষাৎকারের বই এর অনুবাদ
প্রিন্ট পোয়েট্রি প্রকাশনা সংস্থার ইন্টারভিউ সিরিজের প্রথম কিস্তিতে এসেছে ছয়টি সাক্ষাৎকারের বই এর অনুবাদ। ছয় জন অনুবাদকের অনুবাদে বিশ্ব সাহিত্যের ছয় জন বিখ্যাত মানুষের আলাপচারিতা স্থান পেয়েছে এই বইগুলোতে। হারুকি মুরাকামি, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, ইতালো কালভিনো, ওরহান পামুক,পাবলো নেরুদা, টি.এস. এলিয়ট-এর সাক্ষাৎকার অনুবাদ করেছেন যথাক্রমে ইমরুল হাসান, তৌকির হোসেন, তুহিন খান, কে এম রাকিব, তানভীর হোসেন,মঈন উদ্দিন। চ্যানেল আই অনলাইন এর সাথে প্রকাশক ও অনুবাদকদের আড্ডা হল প্রিন্ট পোয়েট্রি ইন্টারভিউ সিরিজের প্রথম কিস্তির ছয়টি বই নিয়ে। পাঠকের জন্য রইলো তার কিছু অংশ থাকলো এখানে:

প্রকাশক কি বই বা লেখক নির্বাচন করে দিয়েছিলেন অনুবাদকদের? যদি তাই হয় তাহলে কোন নির্দিষ্ট অনুবাদককে কোন নির্দিষ্ট লেখকের বই অনুবাদ করতে দেওয়ার পেছনে মূল ভাবনাটা কী ছিল?
প্রিন্ট পোয়েট্রি- প্রথমে আমরা ইন্টারভিউগুলা বাছাই করছি। এমন সব রাইটারদের ইন্টারভিউ নিতে চাইছি, যাদের লেখা বাংলা-ভাষায় অনুবাদ হয়েছে বা যাদের লেখা বা নাম মোটামুটি পরিচিত।
আর এখানে যারা অনুবাদ করছেন, অনুবাদক হিসেবে উনাদেরকে চিনি আমরা। বাছবিচারে (www.bacbichar.net) নানান সময়ে উনাদের লেখা ও অনুবাদ আমরা ছেপেছি।
আর অনুবাদকদেরকে টেক্সট দেয়ার সময় তাদের আগ্রহের জায়গা মাথায় রেখেছি, কিন্তু সবার ক্ষেত্রে মিলানো গেছে – তা না। যেমন, তুহিন খান ইতালো কালভিনো’র একটা বই অনুবাদ করছেন। তানভীর হোসেনের অনুবাদে একটা ফ্লুয়েন্সি আছে, যেটা নেরুদার স্টাইলের সাথে যায়, এরকম মনে হয়েছে। মেবি, ওরহান পামুক কে এম রাকিবের জন্য এতো বেশি যুতসই হয়নি, কিন্তু যেহেতু টেক্সটগুলো আগে থেকে বাছাই করা হয়েছে, আর রাকিবের অনুবাদ পছন্দ আমাদের, এরকম একটা জায়গা থেকে ম্যাচ করতে হয়েছে। এরকম।
উনারা সবাই এক ধরণের ‘ভাষা’য় (কথ্য) লিখছেন বলেই কি এই প্রজেক্টে নির্বাচিত হলেন, নাকি লেখক নির্বাচনের পরে লেখার ধরণ / ভাষা কী রকম হতে পারে তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়?
প্রিন্ট পোয়েট্রি- ভাষা বিষয়ে একটা কমন কনশাসনেস, বা আন্ডারস্ট্যান্ডিং বা বোঝা-পড়া মনে হয় সবারই আছে যে, প্রমিত ভাষা বা মান-ভাষা সাহিত্যের জন্য ভালো কোন জিনিস না, বরং পাব্লিককে সাহিত্য থেকে দূরে সরিয়ে রাখার একটা পলিটিক্যাল টুল। সবার বোঝা-পড়া একই রকম – তা না; প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা কিছু চেষ্টা আছে বলেই আমাদের মনে হয়েছে। আবারও বলি, সবাই ‘এক ধরণের’ ভাষায় লেখেননি আসলে; সবার ভিতরে যেটা কমন – কেউই সো-কল্ড ‘মান-ভাষা’তে লেখেননি। একটা কমন ভাষার কাছাকাছি যাওয়ার ট্রাই করছেন, যার যার মতন।
ভাষাকে কথ্য ভাষার আদলে বলার প্রবণতা প্রায় সব বইতেই আছে। এটা কি পরিকল্পনা করে ঠিক করা? এই ভাষায় যার ইন্টারভিউ নেওয়া হচ্ছে তিনি পাঠকের খুব কাছে চলে আসেন – এরকমটা কি আপনারা ভাবেন?
কে এম রাকিব– হ্যাঁ সেটাই মনে হয়। লিখিত ভাষা আমজনতার বোধগম্যতার যত কাছে আনা যায় ততই ভালো। দেশে স্ট্যান্ডার্ড বা মান ভাষা বলে যে জিনিসটা চালু আছে তা ব্যাপক মাত্রায় আড়ষ্ট, পুস্তকী, জন-জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন। এই ধরণের ভাষা ব্যবহারে একটা প্রবণতা স্পষ্ট হয় যে, ‘চালু শব্দ ভালো না’। যেমন, ডাক্তার শব্দটা দেশের যত লোক বোঝে আর ইউজ করে, চিকিৎসক শব্দ তত মানুষ বোঝে না। অথচ ‘প্রমিত’ নামের যে লিখিত ভাষা চালু আছে, সেটা বলে চিকিৎসক শব্দ ইউজ করতে। ‘মান’ ভাষার এই আরোপ করা কৃত্রিমতা লেখক-পাঠকের স্বতস্ফূর্ততা নষ্ট করে। এই ভাষায় পাঠকের খুব কাছে আসা যায় কিনা- প্রশ্নটা স্পষ্ট না। পাঠক তো নানান রকম, নানা শ্রেণির আর কালচারের, কোন পাঠকের কথা বলা হচ্ছে? এতদিন ধরে ‘প্রমিত’ নামের ভাষায় দেশের শিক্ষিত শ্রেণির যে একটা অংশ অভ্যস্ত, তাদের একটা অংশের একটু অস্বস্তি লাগা অস্বাভাবিক না। কিন্তু আমার বিশ্বাস খুব বেশি ডগম্যাটিক না হলে এই ভাষায় যারা অভ্যস্ত না, তারাও ধীরে ধীরে যোগাযোগের জন্যে কোন ভাষাটা তুলনামূলক বেশি কমিউনিকেটিভ তা বুঝতে পারবেন।
তুহিন খান- হ্যাঁ, এটা তো ইচ্ছাকৃতই, অনিচ্ছাকৃত হওয়ার তো কারণ নাই। এই ভাষায় ওই লেখকেরা পাঠকের কাছে এসে পড়েন কিনা, সেটা তো আসলে কোশ্চেন না। মানে, ভাষা তো খালি ভাষাই না, চিন্তাও থাকে এখানে। তো চিন্তাও কঠিন হতে পারে কারো কারো কাছে। তবে, এই ভাষায় জিনিশগুলার সাথে ক্যাজুয়ালি এঙ্গেজড হতে পারবেন লোকজন, কম্যুনিকেশনটা স্মুথ হবে— এমন মনে হয়।
মঈন উদ্দিন- প্ল্যান বলতে রাইটারের লেখার একটা স্টাইল থাকে। ভাষার ব্যাপারে সেনসিটিভিটি থাকে। আমি তো এভাবেই লেখি। সো, ইন্টারভিউ ট্রান্সলেশনেও স্টাইলটা এসে গেছে। কমন ভাষায় লেখলে রিডারের পড়তে আরাম লাগার কথা, কষা ভাবটা আসলে আলগা আলগা লাগে এমনিতেই। ওটা কেটে গেলে আরাম লাগার কারণে রিডার ওয়ার্ম ফিল করেন, এংগেজড হন, ফলে ইনটিমেট তো হনই লেখার সাথে। এটাকে কাছে আসা বলতেছেন মে বি।
তানভীর হোসেন- কথ্য ভাষায় বলার প্রবণতা সব বইতেই আছে এটা ঠিক পরিকল্পনা করে করা হয়েছে এটা মনে হয় না বরং এটা একটা কালেক্টিভ কনশাসনেস থেকে আসছে মনে হয়।
যাদের ইন্টারভিউ এই ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে তারা পাঠকের খুব কাছে চলে আসেন কিনা এটা একটা প্রবাবিলিটি। আমি মনে করি আসার সুযোগটা বেশি অন্য ভাষার চাইতে।
তৌকির হোসেন- পরিকল্পনা তো ঠিক না! বলা যায়, এখন এভাবেই আমরা লেখালিখি করে থাকি। ফেসবুকে বেশিরভাগ স্ট্যাটাসই এই ভাষায়। নট নেসেসারি যে তারা বাংলা প্রমিত ভাষাশিক্ষা অনুযায়ি স্ট্যাটাস বা যেকোন রকমের লেখা লিখে থাকছেন। এখন যদি নতুন কোন কিছুকে বাতিল করে দেওয়ার একটা প্রবণতা থাকে, তা হলে ওই ক্ষেত্রে পরিকল্পনা/কন্সপিরেসি এই শব্দগুলার ইউজ এমনিতেই বেশি হয়। যে ভাষা বর্তমানে চালু আছে, সেই ভাষাকে অস্বীকার করা ভাষাকে তো আটকিয়ে দেয়া একপ্রকার। কালচারের যে জায়গাটা চেঞ্জ হইছে, হচ্ছে তা অস্বীকার করা ক্যানো?
ইমরুল হাসান- ঠিক ‘কথ্য ভাষার আদলে’ বলে ভাবলে কিছুটা ভুল হবে মনে হয়, কারণ মানুষের লেখার স্টাইল আর বলার ধরণ একই রকমের হওয়ার কথা না, যেহেতু দুটো অ্যাক্টিভিটি হিসাবেও আলাদা; বরং আমাদের লেখার ভাষাটা অনেক বেশি কষা, জড়োসড়ো, রিজিড…। এখানে পাবলিক পার্টিসিপেশনের জায়গাটা আটকানো। তো, এই যে খামোখা রিজিডিটি সেটাতে আমরা কেউই মেবি আটকায়া থাকতে রাজি হইনি। এভাবে দেখলে মেবি বেটার একটা পারসপেক্টিভ পাওয়া যেতে পারে। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন, ছয়টা অনুবাদের ভাষা একইরকম না; যার যার নিজের মতন ফেক্সিবিলিটি ক্রিয়েট করার ট্রাই করছেন।
ইমরুল হাসান ছাড়া অনুবাদকদের মধ্যে পাঁচ জনের নাম তেমন পরিচিত নয় পাঠকের কাছে। তো ভরসার জায়গাটা কেন তৈরি হতে পারে বলে আপনারা মনে করেন?
কে এম রাকিব – বিগ শট সাহিত্যিকদের নাম পাঠকদের প্রথমত আগ্রহী করতে পারে। কোন কোন অনুবাদক দেশে ভরসা তৈরি করতে পারছে, এটা একটা প্রশ্ন বটে। আমিও তাদেরকে চিনতে আগ্রহী। আর অনুবাদক হিসেবে, আমি আন্তরিকভাবে সাধ্যমত ভালো অনুবাদের চেষ্টা করছি। ভরসা করার মতো কিনা সেটা পাঠক বলতে পারবে।
তানভীর হোসেন – অনুবাদক হিসেবে পরিচিত না হয়েও যে বিষয়টা পাঠকের কাছে যেতে সহজ হবে তা হলো অধিকাংশ পাঠক এই অনুবাদগুলা পড়ে আরাম পাবে। আমি নিজে যখন ছোট ছিলাম তখন অনুবাদ পড়তে গিয়ে কিছুই বুঝতে পারতাম না। মনে হতো কী জানি একটা নাই সেখানে। ওই এক্স ফ্যাক্টরটা যে ভাষায় তা পরে বুঝতে পারছি বিশেষ করে যখন ওই বইগুলোর ইংরেজি ভার্সনটা পড়ছি। এটারে আরেকটু ন্যারো ডাউন করলে শব্দ নিয়া বলা লাগবে। আমি খেয়াল করলাম ওইসব বইয়ে অনুবাদকরা আমাদের জীবনে উঠতে বসতে ব্যবহার করা নানান ইংরেজি শব্দরে (যেমন ধরেন: ক্যালেন্ডাররে দিনপঞ্জিকা) জোর করে বাংলা করার চেষ্টা করছেন। যা বেসিক্যালি অনুবাদটারে একেবারেই কষা, মরা করে ফেলছে। তো ভরসা তৈরির জায়গাটা এটাই যে মিনিংয়ের সাথে আপোষ না কইরা যদি পুরা জিনিসটারে মজার, আরামের করে তোলা যায় তাহলে এর চাইতে বড় শক্তি আর অনুবাদের হইতে পারে না।
তৌকির হোসেন- পাঠক পরিচিতি তো আসলে পুঁজির জোরেই আসে। পাঠকের মনে তা ধরবে কিনা বা পাঠক তা পছন্দ করবে কিনা তা অবশ্য পুঁজি দিয়া বলা যায় না। তবে ফেসবুক অডিয়েন্সের কথা মাথায় রাখলে, তা আসলে আশা করাই যায়। তবে ‘পরিচিত অনুবাদক’ এই পরিচিতি দিয়া কাজ যাচাই করা একটা বাজে প্র্যাক্টিস। পাঠকরা ট্রাই করুন, তাদের মনে ধরলে অবশ্যই এর প্রভাব থাকতে বাধ্য।
কিন্তু অনুবাদের বই বা যেকোন বই কেনা বা পড়ার পেছনে অনুবাদক বা লেখকের নাম কি ফেক্ট না?
তুহিন খান- একটা বই, অনুবাদ বা যেকোন কিছু লোকে কেন কিনবে পড়বে এটা বলা তো আসলে যায় না। বাংলাদেশে যেসব অনুবাদ হয় সেগুলো লোকে কেন পড়ে, এটা নিয়ে কোন জরিপ আছে? সাপোজ, বাতিঘর বা সেবা কেন পড়ে? অনুবাদকেরা অনেক ভাল এজন্যে? নাকি অন্য কারণ আছে? অনুবাদ সাহিত্য তো খুবই লিমিটেড এখানে। লোকজন বাইরের বই লেখাপত্র পড়তে চায়। ফলে অনুবাদ পড়তে চায়। এই অনুবাদগুলো দুটো জায়গায় হয়তো কিছুটা কন্ট্রিবিউট করছে— এক. এমনিতে তো একটা কড়া বাংলা আমরা লেখি৷ অনুবাদে এসে ওই বাংলা কড়া থেকে কর্কশ হয়ে ওঠে। অনুবাদের এই ‘কর্কশ বাংলা’রে ওভারকাম করার একটা চেষ্টা এই বইগুলোতে আছে। দুই. অনুবাদের ক্ষেত্রে আমরা প্রায়ই আক্ষরিক অনুবাদ, ভাবানুবাদ হেনানুবাদ তেনানুবাদ এগুলো নিয়ে তর্ক করি। এর অনুবাদ বেশি আক্ষরিক, ওরটা তো পুরাই ভাব, মূল কিছুই নাই— এমন একটা ব্যাপার আছে। এই অনুবাদগুলো ওই বিতর্কের জায়গাটারে কিছুটা ছোট করতে পারবে মেবি। এইতো।
মঈন উদ্দিন – মেইন যে ইন্টারভিউটা নিছে তার নামটাই আমি খেয়াল করি নাই, তারে বলা হইলো ইন্টারভিউয়ার। তো, পড়তে পড়তে ভালো লাগলে নামটা খুঁজে নিবেন আরকি। যেমন, আমি যারা মেইন ইন্টারভিউটা নিছেন তাদের নাম খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছি এখন। লেখা পড়তে পড়তে আপনার সাডেনলি মনে হবে- আরেহ! ভালই তো করছে অনুবাদ, তার জন্য ‘একটা কলা আর দুই পিস পাউরুটি’ না দেন পুরস্কার; নামটা খুঁজে নিলেন।
ইমরুল হাসান- অনুবাদ আসলে ‘ভালো’ হয় অনুবাদকের প্যাশন আর পরিশ্রমের উপর। এখানে যারা অনুবাদ করছেন তারা সবাই সাহিত্যের ব্যাপারে সিরিয়াস, তো, পাঠক মেবি বিখ্যাত রাইটারদের নাম দেখেই বইগুলো হাতে নিবেন, কিন্তু অনুবাদকদের প্যাশনটাও উনারা উপভোগ করবেন মনে হয়।
‘বই ছাপানোর আগে প্রি-অর্ডার’ ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে খুব পরিচিত মার্কেটিং পলিসি নয় বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত। তো বই বিক্রির ব্যাপারে একে পণ্য হিসেবে স্মার্টলি রিপ্রেজেন্ট কেন করা হয় না, এ ব্যাপারে কী মনে হয়?
প্রিন্ট পোয়েট্রি- বইকে একটা ‘প্রডাক্ট’ হিসেবে ব্রান্ডিং করা হয়নি, লেখকদেরকেও – এটা মেজর সমস্যা মনেহয়। এখনো দেখবেন, বই নিয়া আলাপ উঠলেই পেইজ হিসেব করা শুরু হয় প্রথমে, অ্যাজ ইফ লেখকের কোন মজুরি নাই, টেক্সটের কোন ইন্টেলেকচুয়াল ভ্যালু নাই! আছে যে, এই জিনিসটাও কখনো হাইলাইট করা হয়নি। বইয়ের ব্যবসাটারে ওভারঅল ব্যবসা হিসেবে না দেখার জায়গা থেকেই এসব অবস্থা তৈরি হয়েছে মনে হয়।
মার্কেটিং পলিসি নিয়ে আর কী কী ভাবছেন?
প্রিন্ট পোয়েট্রি – আমরা তো বই ছাপিয়েছি পাব্লিকের জন্য, পাব্লিকের কাছে বই বিক্রি করতে চাই। কিন্তু বিক্রির প্রসেসটা সহজ বলে মনে হয় না। বই বিক্রির যতগুলো মাধ্যমে পাব্লিকের কাছে পৌঁছানো যায়, সবগুলো ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলে কীভাবে অ্যাভেইলেবল করা যায় – সেই চেষ্টাটা করতে চাচ্ছি। হয়তো কাজ করতে করতে কিছু এফেক্টিভ মার্কেটিং পলিসি আমরা তৈরি করতে পারবো।