কক্সবাজারে দুটি পৃথক ঘটনায় দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর মধ্যে বন্ধুদের সাথে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ থাকার দুইদিন পর সোমবার কক্সবাজারের সদরের চৌফলদন্ডী ব্রিজের নিচ থেকে মো. সায়েম (২২) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত সায়েম খুরুশকুল তেতৈয়া গুইল্যাবাপের পাড়া এলাকার আবু ছৈয়দের ছেলে। তিনি পেশায় সিএনজি অটোরিক্সা চালক।
পরিবারের বরাত দিয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গিয়াস জানান, গত শনিবার থেকে যুবক সায়েম নিখোঁজ ছিলেন। নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি। এরপর বিভিন্ন ভাবে খোঁজ নিয়ে কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে সোমবার ভোর ৪টায় নিখোঁজ যুবকের মরদেহ চৌফলন্ডী ব্রিজের নিচে ভেসে উঠে।
নিহতের ভাই ফরিদুল আলম জানান, শনিবার রাতে বন্ধুদের সাথে খালে বেড়াতে যায় সায়েম। রাত ১২টার পর থেকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এর মধ্যে রাতে বন্ধুরা বাড়ি ফিরলেও ফিরেনি সায়েম। নিহতের ভাই ফরিদুল আলমের আশঙ্কা তার ভাই বন্ধুদের সাথে বেড়াতে গিয়ে কোথাও আক্রমণের শিকার হয়েছে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন থাকার কথাও জানান তিনি।
ওসি জানান, ঘটনার প্রকৃত রহস্য জানতে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে সেহেরি শেষে ফজরের নামাজ পড়ার উদ্দেশে মসজিদে যাবার পথে মুদি দোকানী তারেকুল ইসলাম (১৭) দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন।
সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঈদগাঁওর ইসলামাবাদ ইউনিয়নের খোদাই বাড়ী এলাকায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন নিজ মুদির দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ঈদগাঁও থানার ওসি মো. আবদুল হালিম।
নিহত তারেকুল ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ওয়াহেদর পাড়া এলাকার মৃত ছগির আহমদের ছেলে।
পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, খোদাইবাড়ি এলাকায় দিবা ব্রিক ফিল্ডের পশ্চিম পার্শ্বে তারেক দীর্ঘদিন যাবত একটি মুদির দোকান করে আসছিল। সোমবার ভোররাতে সেহরি খেয়ে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদের উদ্দেশে ঘর থেকে বের হয়। এরপরই বাড়িতে খবর আসে তারেককে কে বা কারা ছুরিকাঘাত করে পালিয়েছে।
পরে পথচারীরা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহতের শরীরের তিন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঈদগাঁও থানার ওসি হালিম আরও জানান, রক্তমাখা ছুরিটি জব্দ করা হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদেন্তর জন্য মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
কক্সবাজার সদর সার্কেল (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) মিজানুর রহমান ও সিআইডি ক্রাইম সিন পরিদর্শক মিতশ্রি বড়ুয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তবে এখনো হত্যার কারণ ও অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।