মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো বেশি অবদান রাখার জন্য সবার প্রতি আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।
মহান বিজয় দিবসে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন,‘দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাবো আসুন, মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো বেশি অবদান রাখি, দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নেই সমৃদ্ধ আগামীর পথে।’
বাণীতে রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালিন রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে করণীয় বিষয়ে প্রদত্ব বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ গত ৩০ অক্টোবর- ২০১৭ ইউনেস্কো ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য’ ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করে ‘বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ জন্য আমরা গর্বিত।
বিজয় যেমন আমাদের স্বকীয়তা দিয়েছে, তেমনি বিশ্বমানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত করেছে স্বাধীন জাতি হিসেবে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে ‘আমাদের’ উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথ সবসময় মসৃণ ছিল না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে সামরিক স্বৈরশাসন ও অগণতান্ত্রিক সরকারের উত্থান ঘটে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।’
লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে আরো অর্থবহ করতে দলমতনির্বিশেষে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, সরকার সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ‘ভিশন ২০২১’ ও ‘ভিশন ২০৪১’ঘোষণা করেছে।
‘আমাদের বিপুল মানবসম্পদ ও তথ্য প্রযুক্তির সার্থক ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা এ ‘ভিশন’ বাস্তবায়নে সক্ষম হবো, ইনশাল্লাহ। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হোক, মহান বিজয় দিবসে- এ আমার প্রত্যাশা।’