বিজ্ঞাপন
৪০ বছর পর অর্থনৈতিকভাবে বিধ্বস্ত এবং মানবিকভাবে বিপর্যস্ত আফগানিস্তানকে সাহায্যের জন্য ২০২২ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন বলে জানায় জাতিসংঘ।
আজ মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাহায্য প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে ২কোটি ২০ লাখ এবং এর পার্শ্ববর্তী ৫টি দেশে পালিয়ে যাওয়া ৫৭ লাখ আফগান বাসিন্দার জন্য এই বছরেই দ্রুত সাহায্য দরকার।
তিনি সারা বিশ্বের কাছে আরজি জানান, যাতে এই সহায়তার আহ্বানে সকলে সাড়া দেয় এবং আফগানদের জন্য সহায়তার দরজা উন্মুক্ত রাখে।
গত বছর আগস্টে তালিবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটি অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতির মতো সমস্যার মুখোমুখি। এছাড়া দেশটি গত বছরেই কয়েক দশকের মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ খরার সম্মুখীন হয়েছে।
এমতাবস্থায় দেশটির জনগণের ভবিষ্যৎ রক্ষার জন্য এই সাহায্য অতি জরুরি বলে জানান, মার্টিন গ্রিফিথস।
এএফপি’র বরাতে সিনিয়র তালেবান নেতা এবং দলের মনোনীত জাতিসংঘের প্রতিনিধি সুহেল শাহীন বলে, আফগানদের রক্ষা করার জন্য এই শীতেই দ্রুত সহায়তার বন্দোবস্ত করা জরুরি।
তিনি আরও বলেন, এখন নগদ কোনো অর্থ সাহায্য দেশে পৌঁছালে তা মুদ্রাস্ফীতি কমাতে এবং বিধ্বস্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে একটা কাঠামোতে আনতে সাহায্য করবে।
গ্রিফিথস জানায়, ২০২২ সালে ১১ লাখ শিশুসহ ৪৭ লক্ষ মানুষ তীব্র অপুষ্টিতে ভুগবে। এছাড়া শিক্ষকদের বেতন দিতে না পারায় ৮০ লাখ শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতে পারে। তাই এই সহায়তা খাদ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য পরিষেবা, জরুরি আশ্রয়, জল, স্যানিটেশন এক্সেস, সুরক্ষা এবং শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে সহায়তা করবে বলে জানান তিনি।
জাতিসংঘের শরনার্থী প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, আফগানিস্তানের পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল করতে এবং দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া রোধ করতে এই আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। যদি তা সম্ভব না হয়ে তবে আগামী বছর ৫ বিলিয়ন সাহায্যের পরিবর্তে ১০ বিলিয়ন সাহায্যের প্রয়োজন হবে।
বিজ্ঞাপন