চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

আজ ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস

একাত্তরের মার্চে শুরু হওয়া প্রতিরোধ যুদ্ধটি  মুক্তিযুদ্ধের পরিচিতি আর বিশ্বজনীনতা পায় ১৭ এপ্রিলে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণের মাধ্যমে। ইতিহাসে এই দিনটির নাম ‘মুজিবনগর দিবস’।

আজ ১৭ এপ্রিল সেই ঐতিহাসিক দিন। মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীন সরকারের শপথ নেয়ার দিন, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠের দিন।

Bkash July

সেসময় বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী থাকায় তাঁকে রাষ্ট্রপতি করেই ঘোষণা করা হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে সেদিন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে শপথ নেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। সরকারের মন্ত্রিসভায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদকে সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে অর্থমন্ত্রী, এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়।

২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাক ষড়যন্ত্রকারীরা গৃহযুদ্ধ হিসেবে চালানোর অপচেষ্টা করেছিল। আজ ৪৪ বছর পরেও তাদের ও তাদের দোসরদের সে চেষ্টা থেমে নেই। তবে ৭১’র দূরদর্শী,দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব সকল চক্রান্ত, অপপ্রচার রুখতে ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে আন্তর্জাতিক ভিত্তি দিতে স্বাধীন দেশের স্বাধীন সরকারের প্রয়োজন বোধ করেছিলেন। তাই বাংলার অবিসংবাদিত নেতা, জাতির জনক শত্রু শিবিরে বন্দি থাকলেও থেমে থাকেনি স্বাধীনতার সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম।

Reneta June

স্বাধীনতা আর মুক্তি পাগল ৭ কোটি বাঙালির প্রাণের দাবি বাংলাদেশ জন্ম নেয় যে আতুঁরঘরে তার নাম মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার স্বাধীনতার যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, বাঙালীর সেই স্বাধীনতার সূর্য আবারও উদিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিলে মেহেরপুর ভবেরপাড়া গ্রামের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে।

সেসময় ভারত সীমান্তবর্তী পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত একটি মুক্তাঞ্চল ছিল প্রত্যন্ত গ্রামটি। এই গ্রামটিই স্বাধীনতা, মুক্তির সংগ্রামে ভাস্বর হয়ে ইতিহাসে ঠাঁই করে  নিয়েছে ‘মুজিব নগর’ নামে।

ISCREEN
BSH
Bellow Post-Green View