৬৪, ২৩, ৪৭, ৬৫, ১২৮ এবং ৯৫। তামিম ইকবালের শেষ ছয় ইনিংসের চিত্র এটি। সঙ্গীর অভাবে যিনি দলকে জেতাতে পারছেন না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পরপর দুই ম্যাচে দারুণ ব্যাট করলেন। প্রথম ম্যাচে দেখেছেন হার। দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলের স্কোর ১৮২’র বেশিতে নিতে পারলেন না।
তামিম এদিন শুরু থেকে স্বভাববিরুদ্ধ ধীর গতিতে খেলতে থাকেন। প্রথম ৩৭ বল থেকে রান তোলেন ২৩। ৫১ বলে ২৮। অর্ধশতকে পৌঁছান ৬৯ বলে। শেষ পর্যন্ত ১১৪ বল খেলে পাঁচ রানের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন।
তামিম যখন এমন হিসেবি, অন্যরা তখন যাওয়া আসার মিছিলে মত্ত। যার শুরু হয় সৌম্য সরকারকে (৩) দিয়ে। অফস্টাম্পের বাইরের বলে যেভাবে খোঁচা দেন, রিপ্লে দেখলে নিজেও হাসবেন। এরপর যান ইমরুল কায়েস (৬)। আগের দিন মুশফিক তামিমকে কিছুটা সঙ্গ দিয়েছিলেন। এদিন সেই তিনিও ফিরলেন ৯ রান করে। সাকিব ছিলেন ২৯ রান করা পর্যন্ত। সাব্বির করেন ৮।
৪৩তম ওভারে স্টার্ক আবার হ্যাটট্রিকের হুমকিতে ফেলেন বাংলাদেশকে। পরপর দুই বলে ফিরে যান মাশরাফি (০) এবং রুবেল হোসেন (০)।
এই অবস্থার ভেতর তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ (১৪) দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষদিকে তার লড়াইটা স্কোর বড় করার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
স্টার্ক চারটি উইকেট নিয়েছেন। দুইজনকে ফিরিয়েছেন জাম্পা।