বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন টাইমের বিচারে ‘পার্সন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হয়েছেন নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ বুধবার পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণে ট্রাম্পের এ প্রাপ্তির কথা জানায়।
পার্সন অব দ্য ইয়ার-নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্প এ বার্তায় বলেছেন: এটা একটা দারুণ সম্মান। আমি সত্যিই গর্বিত বোধ করছি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে এ পর্যন্ত ৯০জন ব্যক্তিকে এ সম্মানে সম্মানিত করেছে পত্রিকাটি। তবে শুধু ভালো কাজের জন্যই যে ‘পার্সন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত করা হয় তেমনটি না। ভালো কিংবা মন্দ দু’য়ের হিসেবেই এ সম্মানে সম্মানিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
একজন ব্যক্তি যেমন ভালো কাজ করে ওঠে আসতে পারে টাইম লাইনে ঠিক তেমনই খারাপ কাজে সরাসরি সম্পৃক্ত অথবা ইন্ধোন জুগিয়েও সুযোগ রয়েছে টাইমের পার্সন অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হওয়ার।
যেমনটি ২০১৩ সালে ‘পার্সন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হন বৌদ্ধধর্মীয় থাই যাজক ইউ উরিরাথা। যাকে বৌদ্ধ উগ্র এবং সন্ত্রাসবাদ জাগরণের জন্য প্রধান ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সে সময় ‘দ্য ফেস অব বুধিষ্ঠ টেরর’ শিরোনামে একটি নিবন্ধনও প্রকাশ করে পত্রিকাটি।
ট্রাম্পের নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে পত্রিকাটি প্রশ্ন রেখেছে-এবছর কী হয়েছে: ভালো না মন্দ? আমেরিকানদের এক ছাতার নিয়ে আসাটাও ট্রাম্পের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করছে পত্রিকাটি।
এদিকে সকল বিতর্ক উপেক্ষ করে জেমস ম্যাটিস ওরফে ‘ম্যাড ডগে’কেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব হিসাবে নিয়োগ করতে চলেছেন ট্রাম্প।
আর এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাটি ট্রাম্প করেছেন নিজস্ব নাটকীয় ভঙ্গীতে। ম্যাটিসকে নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেছেন: জেমস ম্যাটিস সম্পর্কে নানান বিতর্ক থাকলেও তার সমর দক্ষতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলেন না কেউ। টানা ৪৪ বছর সামরিক বাহিনীতে কাজ করেছেন তিনি।