২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার তদন্ত ভিন্ন পথে নিতে সিআইডির দুই তদন্ত কর্মকর্তা ও একজন তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা পরস্পর যোগসাজশে জজ মিয়া কাহিনী সাজিয়েছিল, দোষ স্বীকার করা সত্ত্বেও মুফতি হান্নানকে আসামি করা হয়নি। আদালতে দেয়া সাক্ষ্যে এসব জানান মামলার সর্বশেষ সাক্ষী ও তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ।
একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার সর্বশেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ। ওয়ান ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মামলার তদন্ত সঠিক গতিপথ পেলেও গ্রেনেডের উৎস ও হামলার মূল পরিকল্পনাকারীদের বিষয়ে কিছু না থাকায় তাকে সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগাারের পাশে স্থাপিত ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ এজলাসে শনিবার সাক্ষ্য দেয়া শুরু করেন তিনি। চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে ওই মামলার তদন্তের নানা দিক তুলে ধরেন তিনি।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, তার সাক্ষীতে মূলত যে বিষয় উঠে এসেছে তিনজন তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ, মুন্সি আতিকুর রহমান এবং বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন। তারা এই মামলা দু’টি তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে জজ মিয়া নাটক কিভাবে সৃষ্টি করেছেন সেটাও তিনি উল্লেখ করেছেন।
আব্দুল কাহার আকন্দ বলেন, মূল অপরাধীদের আড়াল করতে যা যা করনীয় সবই করেছেন সেই সময়ের তদন্ত কর্মকর্তারা।
এ প্রসঙ্গে অবশ্য আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, সংঘটিত এই জঘন্য অপরাধে যারা সম্পৃক্ত এবং যারা নির্দেশ দাতা, সহায়তা প্রদানকারী, পরিকল্পকারী তাদের আড়ালকারী কি করেছেন, কিভাবে করেছেন সেটাও তিনি উল্লেখ করেছেন। তাদের তদন্তকালে মুফতি অাব্দুল হান্নান গ্রেফতার ছিলো অন্য মামলায় সেটা জানা পরও তাকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি এবং গ্রেফতারও দেখানো হয়নি।
সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ৩ ও ৪ অক্টোবর। পরের তারিখে তার তদন্তের খুটিনাটি আদালতে তুলে ধরবেন আব্দুল কাহার আকন্দ।