নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের দুটি মামলার বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল
ম্যাজিষ্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিনকে জেরা করছেন নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক
কর্মকর্তা তারেক সাঈদের পক্ষের আইনজীবীরা।
সোমবার সকালে প্রধান আসামী নূর হোসেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে হাজির করা হয়। আসামীদের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিন কর্মকতা লেফটেনেন্ট কর্ণেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লেফটেনেন্ট কমান্ডার এম এম রানাও ছিলেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াৎ হোসেন খান জানান, এর আগে কয়েক দফায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পাশাপাশি জেরা করা হলেও নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা তারেক সাঈদের পক্ষের আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে রিট থাকার কারণ দেখিয়ে জেরা করেননি। পরে রিটটি খারিজ হওয়ায় তারা স্বাক্ষীদের জেরা করা শুরু করেছেন।
গত ৪ এপ্রিল সাত খুন মামলার দুই বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও ডা. বিজয় কুমার পালকে তারা জেরা করেছিলেন।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণের তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
সাত খুনের ঘটনায় নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও তার ৪ সহযোগী হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় তার জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় অপর একটি মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ এক বছর পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ মন্ডল ৩৫ জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করেন। এই মামলায় ৩৫ জন আসামীর মধ্যে ২৩ জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছে। ১২ জন আসামী এখনো পলাতক রয়েছে।