রাজধানীতে বিভিন্ন সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় নবজাতক পাওয়া যায়। হাসপাতালেও সন্তানকে ফেলে যাবার মত ঘটনা ঘটছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ধর্ষণ এবং অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ ছাড়াও দরিদ্রদের মধ্যে অপরিকল্পিত সন্তান জন্মের পর শিশুকে পরিত্যক্ত করার ঘটনা ঘটছে। সাময়িকভাবে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে তাদের আশ্রয় মিললেও স্থায়ী সুরক্ষার কোন বিকল্প নেই।
তিন মাসের শিশু রুহি। পৃথিবীর আলো দেখার পর জায়গা হয়েছিলো পথের পাশে আবর্জনার স্তুপে। অমানবিকতার শিকার শিশুটি এখন বেড়ে উঠছে রাজধানীর আজিমপুরের ছোটমণি নিবাসে।
শুধু পরিত্যক্ত নয়, হারিয়ে যাওয়া কিংবা পাচারের শিকার হয়ে পরে উদ্ধার শিশুদেরও কারো কারো জায়গা হয় সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত ‘ছোটমণি নিবাসে’।
২০১৫ থেকে ২০১৭ সালে তিন বছরে ছোটমণি নিবাসে আশ্রয় পেয়েছে ৩৯টি শিশু। এর মধ্যে ১৯ নবজাতককে রাজপথে পাওয়া গেছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। আশ্রয় কেন্দ্রের বদলে ‘আইনগত অভিভাবকত্ব’ দিয়ে নিঃসন্তান পরিবারে শিশুদের স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে ছোটমণি নিবাস।
ছোটমণি নিবাসে কম হলেও পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে আসা শিশুর সংখ্যা অনেক। গত তিন বছরে পাঁচশ’র বেশি শিশু হারিয়ে যাবার পর এখানে আশ্রয় পেয়েছে। বেশিরভাগকে নিজ পরিবারে ফেরত পাঠানো গেলেও একটি বড় অংশ এখনো পরিবার বিচ্ছিন্ন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাজের খোঁজে ঢাকায় আসা অনেক প্রান্তিক পরিবারের সন্তান ঢাকাবাসের শুরুর দিকেই হারিয়ে যায়।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: