কয়েকদিন ধরে দরপতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারে দেশের দুই পুঁজিবাজারে বেড়েছে মূল্য সূচক ও লেনদেন। মূলত ব্যাংকখাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার দাম বাড়ায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার সূচক ও লেনদেনে এই ঊর্ধ্বমুখি প্রবণতা দেখা যায়।
প্রধান পুঁজিবাজারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৪ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজারে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স বেড়েছে ২১ পয়েন্ট। আর ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৭২ কোটি টাকার এবং সিএসইতে বেড়েছে ৩৭ কোটি টাকার বেশি।
তবে মূল্য সূচক ও লেনদেন বাড়লেও ডিএসইতে যে পরিমাণ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, তার থেকে বেশিসংখ্যক কোম্পানির শেয়ার দাম কমেছে। সিএসইর অবস্থাও প্রায় একই।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৫২ শতাংশ এবং সিএসইতে ৫৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম আগের দিনের তুলনায় কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১টি ব্যাংকের শেয়ার দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। কমেছে মাত্র তিনটির দাম। আর সিএসইতে ১৭টি ব্যাংকের শেয়ার দাম বেড়েছে। কমেছে পাঁচটির দাম।
ডিএসইতে মূল্য সূচক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় শুরু হয়ে তা শেষ পর্যন্ত অব্যহত থাকে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে অবস্থা করছে। আর ডিএসই শরিআহ্ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩২৯ পয়েন্টে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১২৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। কমেছে ১৭২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির দাম। লেনদেন হয়েছে মোট ৬০০ কোটি ৭১ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫২৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৭২ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ২১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৩২৯ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৫০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৮৯টির দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। দাম কমেছে ১৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।