বর্ষার পর পর এবার বুড়িগঙ্গা প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এলেও আবার ফিরে যাচ্ছে ভয়াবহ দূষণের দিকে। হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরিয়ে নেয়ার পরও বিভিন্ন কল কারখানার বর্জ্যে পানির রঙ আবার কালচে হতে চলেছে। তীব্র হচ্ছে কটু গন্ধ। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মনিটরিং ও সচেতনতা বাড়াতে সরকারি তৎপরতা জোরদার করার দাবি নদীপ্রেমীদের।
ডিসেম্বরের শুরুতেই পানি যখন কমতে শুরু করে তখনই বুড়িগঙ্গায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে দূষণের চিত্র। পানি কালচে রঙ ধারণ করে, বের হয় কটু গন্ধ।
এবার একটু দেরি হলেও ধীরে ধীরে দূষণের চিত্র প্রকাশ হচ্ছে। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সদরঘাটে বিভিন্ন রকমের মাছ পাওয়া গেলেও জালে গাদা গাদা আবর্জনাও উঠছে।
বুড়িগঙ্গা দূষণের জন্য হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্পকে দায়ী করা হতো। এই শিল্প সরিয়ে নেয়ার পরও বুড়িগঙ্গা দূষিত রূপেই ফিরে যাচ্ছে। কারণ সদরঘাট থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত দুপাশ থেকেই নদীতে অনবরত ফেলা হচ্ছে বিষাক্ত বর্জ্য।
তবে, আশার কথা হলো এখনো নদীর উপরে বসছে অসংখ্য গাঙচিল।
ট্যানারি সরিয়ে নেয়ার পর এই বুড়িগঙ্গাকে ঘিরে যে আশার আলো দেখা দিয়েছে তা নিভে যেতে বসেছে বিভিন্ন কলকারখানার বর্জ্যের দূষণে। এসব কল-কারখানার ইটিপিগুলো মনিটরিং করা গেলে এবং নদীকেন্দ্রীক সচেতনতা তৈরি করা গেলে আবার বুড়িগঙ্গাতেও প্রাণ ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব, মনে করছেন নদীপ্রেমীরা।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: