দীর্ঘ আট বছরের গবেষণায় পাহাড়ি তুলার নতুন বীজ উদ্ভাবন করেছেন বান্দরবান তুলা গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী কিরণ ময় দেওয়ান। আগামী মৌসুম থেকে পাহাড়ি জুম চাষিদের মধ্যে উদ্ভাবিত নতুন বীজ সরবরাহের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
পাহাড়ি জুম চাষিরা পাহাড়ের পতিত ঢালু জমিতে তুলা আবাদ করে আসছে বহু বছর ধরে। সমতল ভূমির তুলার চেয়ে পাহাড়ি তুলার গুণগত মান অনেক ভালো, ফলনও পাওয়া যায় বেশী।
উৎপাদন আরো বাড়াতে পাহাড়ি তুলার বীজ সংরক্ষণ করে ২০০৭ সাল থেকে গবেষণা শুরু করে তুলা গবেষণা কেন্দ্র। ইতোমধ্যে পাহাড়ি তুলা-১ ও পাহাড়ি তুলা-২ চাষ করে সফলও হয়েছে চাষি। সর্বশেষ ২০১৫ সালে পাহাড়ি তুলা-৩ এর বীজ উদ্ভাবন করেছে বান্দরবান তুলা গবেষণা কেন্দ্র।
নতুন এই বীজের উদ্ভাবক বিজ্ঞানী কিরণ ময় দেওয়ান জানান, পাহাড়ের বিভিন্ন স্থান থেকে বীজ সংগ্রহ করে সুইং এর মাধ্যমে পাহাড়ি তূলা-৩ এর বীজ উদ্ভাবন করেন তিনি।
পাহাড়ি তুলা-৩ আকারে বড়, ওজন বেশী এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। অন্য যেকোন তূলার চেয়ে ফলন পাওয়া যায় তিনগুণ বেশী।