পহেলা জুন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। বুধবার একই রাতে দাপুটে জয়ে দল দুটি যেন একে অপরকে বার্তাই দিয়ে রাখল। ডাবলিনের ক্লনটার্ফে বাংলাদেশ যখন বিদেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমবার হারিয়ে আইসিসি টেবিলের ছয়ে উঠে যাচ্ছিল, বার্তা দিয়ে রাখছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছোঁড়ার; ঠিক সেসময় লিডসে সাউথ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের প্রস্তুতির পাল্টা বার্তাটা দিয়ে রাখল ইংলিশরাও। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্রোটিয়াদের ৭২ রানে হারিয়েছে ওয়েন মরগ্যানের দল।
জয়ে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন মরগ্যান। তার সেঞ্চুরি ও মঈন আলির ঝড়ে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩৯ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে ইংল্যান্ড। পরে সাউথ আফ্রিকাকে গুটিয়ে দেয় ২৬৭ রানে, তখনও পাঁচ ওভার বাকি ছিল নির্ধারিত ওভারের।
হেডিংলিতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জেসন রয়কে (১) হারায় ইংল্যান্ড। জো রুটকে (৩৮) নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৯৮ রানের জুটি গড়েন অ্যালেক্স হেলস (৬১)।
পরে বেন স্টোকস (২৫) ও জস বাটলার (৭) দ্রুত ফিরে গেলে স্বাগতিকদের হাল ধরেন মরগ্যান ও মঈন। ১১৭ রানের জুটি গড়েন দুজনে। শেষ ১১ ওভারে ১১৩ রান যোগ করে ইংলিশরা।
অধিনায়ক মরগ্যান ১০৭ রানে ফেরেন। ইনিংসটি ৯৩ বলে ৭ চার ও ৫ ছয়ে সাজিয়েছেন তিনি। এটি তার ১১তম শতক। আর ৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন মঈন। এই অলরাউন্ডার ৫টি করে চার-ছয়ে ৫১ বলের ঝড়ো ইনিংসটি খেলেছেন।
প্রোটিয়াদের হয়ে ক্রিস মরিস ও আন্দিলে ফেহলুকয়ায়ো ২টি করে উইকেট নেন।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কুইন্টন ডি কককে (৬) হারিয়ে শুরু সফরকারীদের। পরে ১১২ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন হাশিম আমলা (৭৩) ও ফ্যাফ ডু প্লেসিস (৬৭)। এই দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরানোর পরই ভেঙে পড়ে প্রোটিয়া প্রতিরোধ। বাকিদের মধ্যে বলার মত অবদান কেবল ৩৮ বলে ৭টি চারে ৪৫ রান করা অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সের।
ইংলিশদের হয়ে ৩৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা ক্রিস ওকস। দুই স্পিনার আদিল রশিদ ও মঈন ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচসেরাও অলরাউন্ডার মঈন।
শনিবার সাউদ্যাম্পটনে তিন ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে মুখোমুখি হবে দুদল।