বাংলাদেশের প্রকৃতি রক্ষায় একে অপরকে সহযোগী হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রজাপতি ও অন্যান্য পোকা মাকড়ের গবেষণা ও সংরক্ষণে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সঙ্গে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানানো হয়।
অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দর্শনার্থীদের অন্যতম আকর্ষণ পরিযায়ী পাখি ও প্রজাপতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের উদ্যোগে প্রজাপতি পার্কে কৃত্রিম উপায়ে বংশবৃদ্ধিসহ নানা গবেষণা চলছে। এ কাজের সহযোগী হলো প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন।
প্রজাপতি নিয়ে গবেষণা বাড়ানোর পাশাপাশি এ বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বাড়াতে কাজ করার প্রত্যয়ে সমঝোতায় স্বাক্ষর করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ট্রেজারার আবুল খায়ের এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রজাপতি পার্কের সমন্বয়ক অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন। প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু ও ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী শামীম আহম্মেদ।
এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। তিনি বলেন, পারস্পরিক সম্পর্ক ছাড়া প্রকৃতি ও জীবন রক্ষা করা সম্ভব নয়। আজ সবার অন্তত এই উপলব্ধি হয়েছে যে, প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করা প্রয়োজন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজাপতি মেলাকে একটি উপলক্ষ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি সবাইকে প্রকৃতির কাছে ফিরে আসার আহ্বান জানান।
প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপাচার্য বলেন, প্রকৃতিকে মানুষের সামনে উম্বোচন করে ফাউন্ডেশন গভীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, সকল প্রাণী নীরবে প্রকৃতির জন্য কী অবদান রেখে চলেছে তা আমাদের তুলে ধরতে হবে। এরা আমাদের কী উপকার করছে তাও জানানো দরকার। শুধু প্রজাপতি নিয়ে গবেষণা নয়, বাংলাদেশের প্রকৃতির ভালর জন্য ভবিষ্যতে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেন তিনি।
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন বলেন, এই চুক্তির ফলে প্রজাপতি নিয়ে গবেষণা আরো ত্বরান্বিত হবে। এই প্রজাপতি পার্ক একদিন বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে বলেও আশা করেন তিনি।
চ্যানেল আইয়ের মাধ্যমে প্রকৃতি বিষয়ক প্রচারণা আরো বাড়ানোর আহ্বান জানান জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন আব্দুল জব্বার হাওলাদার।