গত বছরের ব্যর্থ অভ্যুথানের জেরে আরও হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে তুরস্কের পুলিশ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইসলামি নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের প্রতি আনুগত্যের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এই গুলেন ওই অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের মূল হোতা দাবি দেশটির।
বুধবারের অভিযানে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার পুলিশ সদস্য অংশ নেন।
গত বছর জুলাই মাসে এরদোগানের বিরুদ্ধে ব্যর্থ অভ্যুত্থান মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই নস্যাত করে দেয় সরকার। চলতি মাসে আয়োজিত গণভোটে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির পক্ষে রায় দেয় জনগণ।
৭২টি প্রদেশ থেকে ১ হাজার ৯ জন গোপন কাজে জড়িত ‘ইমামকে’ গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সলু। এই পদক্ষেপকে দেশটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলেও অভিহিত করেন তিনি।
গত বছরের জুলাইয়ের ব্যর্থ অভ্যুত্থানে নিহত হন ২৪৯ জন। দেশটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যেমন পুলিশ, সামরিক এবং বিচার বিভাগের মধ্যে অনুপ্রবেশ এবং রাষ্ট্রের ভেতর আরেক রাষ্ট্র চালানোর অভিযোগ তুলে তুরস্ক সরকার। সকল অভিযোগের আঙ্গুলই ফেতুল্লাহ গুলেনের প্রতি।
অভ্যুত্থানের পর দেশটির কর্তৃপক্ষ ৪৭ হাজার মানুষকে আটক করেছে বলে জানায়। আটকদের মধ্যে হাজার হাজার পুলিশ এবং সামরিক বাহিনীর সদস্য আছেন। এছাড়াও হাজার হাজার মানুষ তাদের চাকরী হারায় এবং সকল বিরোধী গণমাধ্যমের প্রচারও বন্ধ করে দেয়া হয়।
এদিকে, এ মাসের শুরুতে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আয়োজিত গণভোটে এরদোগানের পক্ষে যায়। এর ফলে প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতা বাড়ায় দেশটির সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হচ্ছেন তিনি। খুব সামান্য ব্যবধানেই জয় পান এরদোগান। নির্বাচনকে ঘিরে বিতর্কও কম হয়নি।
১৬ এপ্রিলের গণভোটে প্রেসিডেন্ট শাসিত সরকার ব্যবস্থার প্রতি রায় দেয় ৫১ দশমিক ৪১ শতাংশ মানুষ। বিপরীতে এর বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান জানায় ৪৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ ভোটার।
দশ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার পর ২০১৪ সালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হন এরদোগান।