ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে জোর দিচ্ছে দুই সিটি কর্পোরেশন। কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, মশা নিধনে তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) সবশেষ কীটনাশক এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সময় এসেছে। তাই দুই সিটি কর্পোরেশনকেই মশা নিধন ব্যবস্থার আধুনিকায়নের তাগিদ দিয়েছেন তারা।
এছাড়া কীটতত্ত্ববিদরা চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ কমাতে মশার প্রজনন স্থলে এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে মশার লার্ভা নিধনে পরামর্শ দিচ্ছেন। রাজধানীর উত্তর সিটি করের্পারেশনে ৩৬ এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ৫৪টি ওয়ার্ডে ৩ দিন পর এ কার্যক্রম চলছে।
কিন্তু কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, এভাবে আপাতত সমাধান মিলবে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি কমিয়ে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় নতুন কৌশল দরকার।
‘২০০০-২০০২ সালে দেশে প্রথমবারের মতো ডেঙ্গুর প্রকোপের নাগরিক সমাজ বিভিন্ন সুপারিশ করেছিলো। এর মাঝে মশা নিধনে সিটি কর্পোরেশনকে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার আওতায় আনারও কথা ছিলো।’
তারা বলছেন, মশার প্রজনন ক্ষেত্র চিহ্নিত করে নিয়মিত জরিপ করা এবং মশার জন্মকালেই বিনাশ করার কর্মসূচি প্রয়োজন। এছাড়া বেশি কার্যকর কিন্তু নিরাপদ কীটনাশকের ব্যবহার বাড়াতে হবে।
রাজধানীতে গত চার মাসে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপে অতিষ্ঠ নগরবাসী। আক্রান্তরা জ্বরপরবর্তী শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এ বাস্তবতায় চিকুনগুনিয়া পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে জাতীয় কমিটি করা হয়েছে।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: