জার্মান কোচ জোয়াকিম লো একদম নবীন দল নিয়ে কনফেডারেশনস কাপ খেলতে এসেছেন। রাশিয়া বিশ্বকাপ সামনে রেখে পরীক্ষামূলক দল সাজিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া দলে খুব একটা পরিবর্তন নেই। তবু সেই অস্ট্রেলিয়াকে ৩-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে মাঠ ছেড়েছে জার্মানরা।
জার্মানি এদিন ৪-৫-১ ফর্মেশন নিয়ে খেলতে নামে। শুরুতে একমাত্র স্ট্রাইকার ছিলেন সান্দ্রো ওয়াগনার। অস্ট্রেলিয়া দল সাজায় ৩-৬-১ ফর্মেশনে। জার্মানির পরের খেলা চিলির বিপক্ষে, ২২ জুন।
ম্যাচের মাত্র পাঁচ মিনিটের মাথায় ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করে দলকে এগিয়ে দেন স্টিনডল। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার চার মিনিট আগে অস্ট্রেলিয়াকে সমতায় ফেরান টমাস রজিক। বক্সের ভেতর প্রথমবার ঠিকমতো শট নিতে ব্যর্থ হন। বল লাগে মুস্তাফির শরীরে। ফিরতি বল আবার পেয়ে যান রজিক। দ্বিতীয়বার আর ভুল করেননি। বাঁ পায়ের শটে ২৫ বছর বয়সী জার্মান কিপার বের্নড লিনোকে পরাস্ত করেন।
তিন মিনিট বাদে মিডফিল্ডার জুলিয়ান ড্রাক্সলার পেনাল্টি থেকে গোল করে জার্মানিকে এগিয়ে দেন। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় জার্মানি।
ডান উইং ধরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমণে আসে লো’র ছেলেরা। ৪৮তম মিনিটে লিওন গোরেজকা বক্সের বেশ বাইরে থেকে বল পান। অজি ডিফেন্ডার মিলোস ডিগিনেক তাকে মার্কে রেখেছিলেন। কিন্তু গতিতে পেরে ওঠেননি। লিওন বল নিয়ে গোলমুখে চলে যান। খুব কাছ থেকে বল জালে জড়িয়ে দেন।
৫৫তম মিনিটে বক্সের ঠিক বাইরে রজিককে ফেলে দেন জার্মানির গোরেজকা। ফ্রি-কিক নিতে দাঁড়িয়ে যান রজিক এবং অ্যারন মই। শট নেন রজিক। দুজনের শরীরে লেগে ভিড় পার হয়ে বল জার্মান গোলরক্ষকের কাছে যায়। তরুণ গোলরক্ষক প্রথম চেষ্টায় সেটি বুকে নিতে ব্যর্থ হন। বলের খুব কাছে ছিলেন টমি জুরিক। বল জালে জড়াতে এতটুকু ভুল করেননি এই অজি ফরওয়ার্ড।
৫৭ মিনিটের সময় আক্রমণে সতেজতা আনতে স্ট্রাইকার স্যান্দ্রো ওয়াগনারকে উঠিয়ে টিমো ওয়েরনারকে নামান জার্মান কোচ জোয়াকিম লো। বদলি স্ট্রাইকার বেশ নজর কাড়লেও গোলের দেখা পাননি। ছয় মিনিট বাদে রক্ষণে শক্তি বাড়ায় জার্মানি। আক্রমণভাগের জুলিয়ান ব্রানডটকে উঠিয়ে ডিফেন্ডার নিকলাস সুলিকে নামিয়ে দেন লো।
সময় যত বাড়তে থাকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা তত জমে ওঠে। ৭১ তম মিনিটে জার্মান গোলরক্ষক ডানদিকে ডাইভ দিয়ে দারুণ দক্ষতার সঙ্গে বল গ্রিপ করে দলকে বাঁচিয়ে দেন।
৮২তম মিনিটে অজি ফরওয়ার্ড জুরিক বল নিয়ে জার্মানির বক্সের সামনে চলে যান। গোলরক্ষক ওয়ান-টু-ওয়ান পজিশনে পড়েন। বার ছেড়ে বেরিয়ে এসে বল ক্লিয়ার করেন। ৭৮তম মিনিটে জার্মানি আবার রক্ষণে শক্তি বাড়ায়। শেষ দিকে জার্মানরা খুব একটা উপরে ওঠেনি। দাঁতে দাঁত চেপে সময় কাটিয়ে দেয় দলটি।