অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, প্রধান বিচারপতি বলতে চান নিশ্চয়ই মন্ত্রণালয় থেকে যেভাবে গেছে সেভাবেই হয়তো রাষ্ট্রপতি নির্দেশনা দিয়েছেন।
বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে রাষ্ট্রপতির এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রধান বিচারপতির মনোভাব তুলে ধরে এসব কথা বলেন তিনি।
সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশের প্রজ্ঞাপন জারির নির্দেশ দেন।
সাংবাদিকদের অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘হয়তো কোর্ট বলতে চান, যেহেতু রাষ্ট্রপতি শাসিত দেশ আমাদের না, মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার। এখানে রাষ্ট্রপতিকে বিশেষভাবে সংবিধানে দুটি ক্ষমতা দেওয়া আছে। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ করা ও প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ করা। বাকি কাজগুলো রাষ্ট্রপতি করেন প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে। কাজেই তার কাছে যেসব সামারি যায়, সেসব বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে উদ্ভূত হয়। তিনি বলতে চান, এখানে নিশ্চয়ই মন্ত্রণালয় থেকে যেভাবে গেছে সেভাবেই হয়তো রাষ্ট্রপতি নির্দেশনা দিয়েছেন।
গত বছরের ৭ মে আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর আইন মন্ত্রণালয় শৃঙ্খলা সংক্রান্ত একটি খসড়া বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়। তবে আপিল বিভাগ ওই খসড়াটিকে মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থি উল্লেখ করেন।
এরপর সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে ৬ নভেম্বরের মধ্যে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করে আদালতকে জানাতে বলে।
গত ৭ নভেম্বর আপিল বিভাগ অ্যাটর্নি জেনারেলকে এ বিষয়ে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেলকে ২৪ নভেম্বর এবং ১ ডিসেম্বর দুই দফায় আরো দুই সপ্তাহের সময় দেন গেজেট প্রকাশ করতে।
৮ ডিসেম্বর নির্ধারিত দিনে প্রধান বিচারপতি শুনানিতে উপস্থিত অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন, “আপনাকে মৌখিকভাবে বলছি, সোমবার সকাল ৯টায় দুই সচিবকে নিয়ে হাজির হবেন। এটা একটা মেসেজ। পারলে ওই দুইজনকে আইনের খসড়া নিয়ে হাজির হতে বলবেন।”