রাষ্ট্রপতি থাকার সময় পাওয়া উপহার সামগ্রী আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের দুর্নীতির মামলার সাজার বিরুদ্ধে করা আপিল ও এ বিষয়ে রাষ্ট্র পক্ষের আপিল বৃহস্পতিবার একসঙ্গে শুনানি হবে।
বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্নয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চে বৃহস্পতিবার শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
এ মামলার সাজার বিরুদ্ধে করা এরশাদের আপিল ও এবিষয়ে রাষ্ট্র পক্ষের আপিল একসঙ্গে শুনানির জন্য এর আগে একটি নতুন বেঞ্চ গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
গত ২৩ মার্চ এরশাদের আপিল শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য থাকলেও আসামির সাজা বাড়াতে রাষ্ট্রপক্ষের আরও দুটি আপিল অনিষ্পন্ন থাকায় সেদিন আর রায় না দিয়ে ওই মামলার নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের একক বেঞ্চ।
এর আগে গত ৯ মার্চ আপিল শুনানি শেষে ২৩ মার্চ রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট।
রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন পাওয়া উপহার সামগ্রী আত্মসাত ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি সেনানিবাস থানায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো।
বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় এরশাদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। তবে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে এরশাদ আপিল করলে তার তিন বছরের কারাদণ্ড স্থগিত হয়ে যায়।
এরপর ২০১২ সালে দুদক এই মামলায় পক্ষভুক্ত হয়। সর্বশেষ গত ২২ আগস্ট এই মামলার আপিলটি কার্যতালিকায় আনার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি কার্যতালিকাভুক্ত হয়।
এরশাদ হাইকোর্টের আদেশে এই মামলায় বর্তমানে জামিনে আছেন বলে জানান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।