আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন: নির্বাচন কমিশনের কাছে আওয়ামী লীগ যে প্রস্তাবগুলো রেখেছে সেগুলো জনস্বার্থে। অন্যদিকে, বিএনপির প্রস্তাবগুলো দলীয় স্বার্থে। এর আগে বিএনপির পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়েছিলো,‘নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে আওয়ামী লীগ যে ১১ দফা প্রস্তাব দিয়ে তা সুষ্ঠ নির্বাচনের পথে অন্তরায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানীস্থ সেতু ভবন কার্যালয়ে গাজীপুর হতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত মোট ২০ কিলোমিটার রাস্তার লেন নির্মাণ কাজে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন: আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে যে সকল প্রস্তাব রেখেছি সেগুলো জনস্বার্থে। সংলাপের সময় কমিশনাররাও বলেছেন আপনাদের প্রস্তাবগুলো দেখে মনে হয়েছে,‘ এগুলো কোন রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব না।’ আওয়ামী লীগের প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশনের কথা গুলোরই যেন প্রতিফলন ঘটেছে।
নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে ভূল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন: আমরা বলেছি ৯৮-এ যে আইন রয়েছে সে অনুযায়ী সেনাবাহিনী কাজ করবে। আপনাদের বুঝতে হবে- আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী আর সেনাবাহিনী এক নয়। সেনা বাহিনীর কাজ আলাদা। তারপরও নির্বাচনের সময় পরিস্থিতির বিবেচনায় ইসি সেনাবাহিনীকে ব্যাবহার করতে পারবেন।
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরায় গতকাল রাজধানী জুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগদান শেষে দেশে ফিরলে আমরা সংবর্ধনার আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু তখন কি জনদূর্ভোগ হয়েছিলো? আমাদের নেত্রীর নির্দেশ ছিলো জনসাধারণের যেন কোন ভোগান্তি না হয়। কিন্তু সেটা শুক্র-শনিবার ছাড়া সম্ভব ছিল না।
প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা ছিলো ৫ তারিখ, বৃহস্পতিবার। জনগণের ভোগান্তি কথা চিন্তা করে আমরা নেত্রী দেশে ফেরার দিন পিছিয়েছি। আপনারা দেখবে কাল বিএনপির প্রোগ্রামে যে পরিমাণ লোক ছিলো; আমাদের প্রোগ্রামে তার থেকেও ২০ গুণ লোক বেশি ছিলো। কিন্তু, আমাদের প্রোগ্রামে কোন বিশৃঙ্খলা ছিলো না। যে দল নিজেরাই সুশৃঙ্খলনা, তারা আগামীতে ক্ষমতায় আসলে কি করতে পারে চিন্তা করুন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনায় আওয়ামী লীগের যে ক’জন মহিলা নেতাকর্মী ছিলো; খালেদা জিয়ার সংবর্ধনায় তাও ছিলো না বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।