নিজের কথিত অপহরণ ঘটনার বর্ণনায় ডিবি পুলিশের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে বিশিষ্ট কবি ও কলামিষ্ট ফরহাদ মাজহার জানিয়েছেন, তিনি ওষুধ কিনতে বের হয়েছিলেন, এসময় একটি মাইক্রোবাসে করে ৪-৫ জন তাকে তুলে নিয়ে যায়।
সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন। ফরহাদ মজহারের অপহরণ ও উদ্ধারের ঘটনায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি।
ব্রিফিংয়ে তিনি আরো জানান, এখনো তার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কারা তাকে তুলল, কেনো তুলে নিয়ে গেলো বলে ধারণা করছেন, কারো সঙ্গে কোনো শত্রুতা ছিলো কিনা, সেসব বিষয় তার কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে।
আব্দুল বাতেন আরো জানান, দুপুর ৩টা দিকে তাকে আদালতে তোলা হবে। সেখানে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেবেন। জবানবন্দী দেওয়ার পরে তার দেওয়া তথ্যগুলো মিডিয়াকে দেওয়া হবে।
ফরহাদ মজহারকে গতরাতে যশোরের নোয়াপাড়া থেকে হানিফ পরিবহনের বাস থেকে উদ্ধারের পরে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর আদাবর থানায়। সেখানে তার সঙ্গে দেখা করেন তার পরিবারের সদস্যরা।
সোমবার ভোর ৫টা ২০ মিনিটে রাজধানীর শ্যামলী রিং রোডের ‘হক ভবন’ থেকে স্বাভাবিক পোশাকে, স্বাভাবিকভাবে হেঁটে বের হয়েছিলেন ফরহাদ মজহার। কিছুক্ষণ পরে তার স্ত্রী ফরিদা আখতারের মোবাইল ফোনে ফরহাদ মজহার নিজেই জানিয়েছিলেন, কেউ তাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
সেসময় তাকে মেরে ফেলা হতে পারে বলেও আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। ফরহাদ মজহার নিয়মিত যে নম্বর ব্যবহার করেন তার বদলে মাঝেমধ্যে ব্যবহার করেন এমন নম্বর থেকে তার স্ত্রীর ফোনে ফোন আসে।
প্রয়োজন হতে পারে জানিয়ে ফোনে ফরহাদ মজহার নিজেই ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা প্রস্তুত রাখতে বলেছিলেন।
এরপর নিখোঁজ লেখক-কলামিস্ট ফরহাদ মজহারের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তার মোবাইল ট্রাকিংয়ের ম্যাধমে মোবাইলের লোকেশন সনাক্ত করে খুলনার কেডিএ অ্যাপ্রোচ রোড এলাকায় অভিযান চালিয়েছিল র্যাব।
সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় নগরীর সোনাডাঙ্গা অ্যাপ্রোচ রোড ও ইব্রাহিম মিয়া সড়কে এ অভিযান শুরু হয়েছিল। রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত ইব্রাহীম মিয়া সড়কের ১০/১২টি বাড়িতে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়েছিল।
ছবি- আরেফিন তানজিব ও তানভীর আশিক