বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। যার ফলে সমিতির আসন্ন নির্বাচনে ভোটের অধিকার হারিয়েছেন জায়েদ। গেল শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় তথ্যটি জানিয়েছেন আসন্ন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু।
২ মার্চ ছিলো শিল্পী সমিতির বার্ষিক বনভোজন। এদিন সংবাদকর্মীদের সাথে আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচন প্রসঙ্গে আলাপের সময় খসরু বলেন, আজকের বনভোজনের শুরুতে শিল্পী সমিতির দ্বি-সাধারণ সভায় সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদনের একটি বার্তায় জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সদস্যপদ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়ে এবার সরব হলেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের আজিজ মার্কেটে একটি পোশাকের শো’রুম উদ্বোধনকালে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি। ভোটের অধিকার হারানোর বিষয়টিকে তিনি অগঠনতান্ত্রিক এবং অবৈধ বলেও মন্তব্য করেন।
জায়েদ বলেন,“সদস্য পদ স্থগিতের যে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে, সেটা অবৈধ উপায়ে করেছে। এটা অনিয়মতান্ত্রিক, অগঠনতান্ত্রিক। সমিতির গঠনতন্ত্র মুখস্ত আমার কাছে। গঠনতন্ত্রে কাউকে যদি দোষী সাভ্যস্ত করতে হয়, তাকে পর পর তিনটি নোটিশ দিতে হবে। তার তিনটির উত্তর নিতে হবে। তারপর উত্তর যদি মনপূত না হয় তখন কার্যনির্বাহী পরিষদ তাকে জানাবে, ‘আপনার উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে।’ পরবর্তীতে একটা জেনারেল মিটিং ডাকতে হবে, সদস্যদের নিয়ে।”
জায়েদ বলেন,“পিকনিকের মধ্যে কোনো জেনারেল মিটিং হয় না। সেই মিটিংয়ে সাধারণ সদস্যদের মতামত নিতে হবে। কারো সদস্যপদ স্থগিত করতে কিংবা কারো সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে প্রস্তাবনা উপস্থান করে বলতে হবে, ‘আমরা এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি; আপনারা কি রাজি আছেন?’ সাধারণ সদস্যরা হাত তুলে তাদের মত জানাবে। বেশীর ভাগ সদস্য যদি রাজি থাকে তাহলে সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে, অন্যথায় নয়। আমার সদস্যপদ স্থগিতে গঠনতন্ত্র অনুযায়ি এমন কিছু ঘটেনি। মানে এটা পুরোপুরি অবৈধ একটি সিদ্ধান্ত। এটা অন্যায় এবং অগঠনতান্ত্রিক।”
জায়েদ বলেন, ব্যক্তি হিংসার বশবর্তী হয়ে আমার বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবু আমি এবার আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছি, আসন্ন নির্বাচনে আমি অংশ নিচ্ছি না। তারপরও আমাকে নিয়ে ভয়।
জায়েদের সদস্যপদ স্থগিত করে ঘোষণাপত্রে জানানো হয়, “কোনরূপ সাংগঠনিক দূর্বলতা না পেয়ে জায়েদ খান ব্যক্তিগত আক্রোশে ধারাবাহিকভাবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ সাধারণ সম্পাদকের নামে মিথ্যা, মনগড়া, কুরুচিপূর্ণ কল্পকাহিনী সাংবাদিক সম্মেলন, ইউটিউব, ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করায় গত ০২/০৪/২০২৩ তারিখে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জায়েদ খানের এর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।”
এ প্রেক্ষিতে জায়েদ বলেন, শিল্পী সমিতি আমার প্রাণের সংগঠন। সাধারণ শিল্পীদের ভোটে আমি একাধিকবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি। এই সংগঠন নিয়ে আমি কিছু বলিনি। ফেসবুক-ইউটিউবে ব্যক্তি নিপুনের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। নিপুনের বিরুদ্ধে কথা বলা মানে সংগঠনের বিরুদ্ধে কথা বলা নয়। নিপুন কি ফেসবুক-ইউটিউবে আমার বিরুদ্ধে কথা বলেনি?