ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের জেরে এবার উইম্বলডনে রাশিয়ান এবং বেলারুশিয়ান খেলোয়াড়রা হয়েছিলেন নিষিদ্ধ। এ বছরের ৩-১৬ জুলাই হতে চলা আসরে অবশ্য তাদের বিতর্কিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হতে চলেছে।
রাশিয়া এবং বেলারুশের খেলোয়াড়দের এলটিএ’র আয়োজনে হওয়া পাঁচটি এটিপি টুর্নামেন্ট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। উইম্বলডন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাব (এইএলটিসি) একই ধরনের স্থগিতাদেশ আরোপ করে।
যুক্তরাজ্যের গভর্নিং লন টেনিস অ্যাসোসিয়েশন (এলটিএ) নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ব্রিটিশ সরকারের চাপের মুখে পড়ে। ব্রিটিশ গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হতে যাচ্ছে।
এইএলটিসি’র এক মুখপাত্র বলেছেন, আমরা এ বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকার এবং টেনিসের মূল নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ফ্রেঞ্চ ওপেন এবং ইউএস ওপেনের মতো গ্র্যান্ড স্লামে রাশিয়া ও বেলারুশের খেলোয়াড়দের উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। তবে উইম্বলডনে এমনটা হওয়ায় গত আসরে টুর্নামেন্টটি থেকে র্যাঙ্কিং পয়েন্ট কেড়ে নিয়েছিল এটিপি এবং মেয়েদের টেনিস অ্যাসোসিয়েশন।
একইসঙ্গে ব্রিটিশ টেনিসকে এক মিলিয়ন ডলার, এলটিএকে ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ও এইএলটিসিকে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার জরিমানা করে এটিপি।
নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে আরও বড় অঙ্কের জরিমানাসহ কুইন্স এবং ইস্টবোর্নের মতো টেনিস টুর্নামেন্টগুলো যুক্তরাজ্য থেকে সরিয়ে দেয়া হতে পারে। এমন শঙ্কা থেকেই হয়তো আসছে রাশিয়া-বেলারুশের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত।
রাশিয়া ও বেলারুশের খেলোয়াড়রা নিজ দেশের নাম ও জাতীয় পতাকা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নিরপেক্ষ প্রতিযোগী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চলতি বছর নিজ দেশের পতাকা ব্যবহার করতে না পারা বেলারুশের আরিনা সাবালেঙ্কা ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জিতে হন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নতুন রানি।