টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে আগেই বিদায় নিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। এবার টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটকেও বিদায় জানাবেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা ব্যাটার। তার আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের শেষ সিরিজ খেলবেন ওয়ার্নার। তবে তাসমানপাড়ের প্রতিবেশী দেশটির সমর্থকদের কাছ থেকে খুব একটা ‘উষ্ণ অভ্যর্থনা’ আশা করছেন না এ বাঁহাতি ওপেনার।
২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে এসে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের শুনতে হয়েছিল নানা রকম কটূক্তি। ‘অবমাননাকর ও কুৎসিত’ মন্তব্যের ব্যাপারে ওয়ার্নার বলেন, ‘সত্যি বলতে, এখানে কঠিন বাস্তবতা হল আমরা প্রতিবেশী এবং খেলাধুলায় একে অপরকে হারাতে পছন্দ করি। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে সমর্থকরা আমাদের দিকে তেড়ে আসবে, এটাই স্বাভাবিক।’
তবে এসবে কান না দিয়ে নিজের কাজটা ঠিকঠাক চালিয়ে যেতে চান ওয়ার্নার। ৩৭ বর্ষী ক্রিকেটারের ভাষ্য, ‘দর্শক ব্যক্তিগত আক্রমণ করে। যদি তারা এমনটাই করে থাকে, তবে এটি তাদের ব্যাপার। আমি আমার কাজ করে যাব। যদি তেমন কিছু শুনতে পাই, তাহলে এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে অন্য কান দিয়ে বের করে দেবো। আমি এখানে খেলা উপভোগই করি।’
২১ ফেব্রুয়ারি ওয়েলিংটনে সিরিজের প্রথম ম্যাচ, পরের দুটি ম্যাচ ২৩ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি অকল্যান্ডে। তিনটি টি-টুয়েন্টির পর সফরে দুটি টেস্টও খেলবে অস্ট্রেলিয়া। ২৯ ফেব্রুয়ারি ওয়েলিংটনে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ৮ মার্চ। কিউইদের মাটিতে সর্বশেষ চারটি টেস্ট সিরিজই জিতেছে অজিরা।
কিউইদের বিপক্ষে আশাবাদী ওয়ার্নার আরও বলেন, ‘সিরিজ জিততে পারলে ব্যাপারটা দারুণ হবে। শুধু টি-টুয়েন্টির কথা ভাবলে হবে না, এখানে ছেলেদের টেস্ট সিরিজ জেতাটাও দুর্দান্ত হবে।’