চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট আসিম জাওয়াদের মরদেহ বেলা ১১ টা ৫০ মিনিটে মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে আনা হয়েছে। জুমার নামাজের পর দুপুর ২ টায় একই স্টেডিয়ামে তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর পৌর এলাকার সেওতা কবরস্থানে দাফন করা হবে তার মরদেহ।
এর আগে, আজ শুক্রবার ১০ মে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বাশারের প্যারেড গ্রাউন্ডে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর মোহনায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান ইয়াক-১৩০ বিধ্বস্ত হয়। বেলা পৌনে ১১টার দিকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
বিমানের পাইলট উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খাঁন এবং স্কোয়াড্রন লিডার ছিলেন মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ। এ সময় পাইলটরা বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে সক্ষম না হওয়ায় পরে দুই পাইলট প্যারাস্যুটের মাধ্যমে অবতরণ করেন। বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে বোট ক্লাবের পাশে নদীতে পড়ে। এতে গুরুতর আহত হন বিমানের পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।