ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে যৌথভাবে হতে চলা ২০২৪ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বের টিকিট কেটেছে নেপাল এবং ওমান। এশিয়া অঞ্চলের বাছাইপর্বের বাধা টপকে দল দুটি বিশ্বআসরে খেলবে।
শুক্রবার বাছাইপর্বের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৮ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে নেপাল। অন্যদিকে, প্রথম সেমিফাইনালে বাহরাইনের বিপক্ষে ১০ উইকেটের জয়ে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে পা দেয় ওমান।
কাঠমান্ডুর মুলপানি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আরব আমিরাত ৯ উইকেটে ১৩৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার বৃত্তি অরবিন্দ ৫১ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় দলের সর্বাধিক ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন।
নেপালের বাঁহাতি অর্থোডক্স স্পিনার কুশল মাল্লা ৩ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। তারকা লেগ স্পিনার সন্দীপ লামিচানে ৪ ওভারে ১৪ রান খরচায় ২ উইকেট নেন।
সহজ লক্ষ্য তাড়ায় ১৭ বল হাতে রেখে ২ উইকেট খুইয়ে স্বাগতিক দর্শকদের উল্লাসে ভাসিয়ে বিশ্বকাপে যাওয়ার আনন্দে মাতে হিমালয়ের দেশটি। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার আসিফ শেখ ৫১ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন। অধিনায়ক রোহিত পাউডেল ২০ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংস খেলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। আফিফ ও পাউডেল তৃতীয় উইকেটে ৬৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন।
অন্যদিকে, কীর্তিপুরের ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে জেতা বাহরাইন ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১০৬ রানে থামে। ২৩ বলে ৫ চারে সর্বাধিক ৩০ রান করেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ইমরান আলী। আহমের বেন নেসার ২৬ ও ওপেনার সারফারাজ আলী ২৩ রানের ইনিংস খেলেন। আর কোনো ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি।
বাহরাইনের সাথাইয়া বীরপাথিরান এ ম্যাচে প্রথম বলে আউট হয়ে গড়েছেন বিব্রতকর বিশ্বরেকর্ড। আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে তিনিই এখন সবচেয়ে বেশি, পাঁচবার গোল্ডেন ডাকের অধিকারী।
ওমানের হয়ে আকিব ইলিয়াস ৪ ওভারে মাত্র ১০ রানে ৪ উইকেট নেন।
দুই ওপেনার কাশ্যপ প্রজাপতির ৪৪ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫৭ ও উইকেটরক্ষক-ব্যাটার প্রতীক আথাভালের ৪২ বলে ৬ চারে ৫০ রানের ইনিংসে ভর করে ৩৪ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায় ওমান।
রোববার ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এশিয়া অঞ্চলের বাছাইপর্বের ফাইনালে মুখোমুখি হবে নেপাল ও ওমান।