আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি নিরপেক্ষ সরকারের তত্ত্বাবধানে জাতীয় নির্বাচনের অনুষ্ঠানের দাবি জোরালো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশের বিশিষ্ট ৬৮ নাগরিক। এছাড়াও কারাবন্দি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার ৩ নভেম্বর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানান। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার ও বিএনপি মহাসচিবের একান্ত সচিব কৃষিবিদ ইউনুস আলী এই বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠান।
বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে বুদ্ধিজীবী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, শিক্ষাবিদ, ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, অর্থনীতিবিদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং ব্যাংকারসহ বিভিন্ন পেশার বিশিষ্টজনরা রয়েছেন।
বিবৃতি উল্লেখ করা হয়, একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য জাতি আজ উন্মুখ। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজেও এ বিষয়ে তার অঙ্গীকারের কথা বলেছেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি নিরপেক্ষ সরকারের তত্ত্বাবধানে জাতীয় নির্বাচনের অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সেটি করার দাবি জোরালো হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঠিক এই সময়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দিতা যাতে শান্তিপূর্ণ পথে পরিচালিত হয় তার জন্যে মির্জা ফখরুলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বজনবিদিত।
তারা বলেন, ‘রাজনীতিতে সংঘাত পরিহার করে গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা ফিরিয়ে আনতে মির্জা ফখরুলের মুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমরা মনে করি। আমরা আশা করি অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে সরকার একটি শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ সুগম করবেন।’
বিবৃতিদাতারা হলেন, বদরুদ্দীন উমর, ড. ওয়াহিদউদ্দীন মাহমুদ, ড. সালেহউদ্দীন আহমেদ, প্রফেসর আনু মুহাম্মদ, প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ, প্রফেসর ড. আহমেদ কামাল, প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান, প্রফেসর ড. এটিএম নূরুল আমিন, প্রফেসর ড. সদরুল আমীন, প্রফেসর ড. আকমল হোসেন, প্রফেসর ড. ইউসুফ হায়দার, প্রফেসর ড. তাজমেরি ইসলাম, নাসের বখতিয়ার, সিরাজুল ইসলাম, প্রফেসর ড. চৌধুরী আবরার, প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, প্রফেসর ড. মো. নুরুন্নবী, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাজমুস শাহাদাত, প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী, প্রফেসর ড. মো. শামসুল আলম সরকার, প্রফেসর ড. মো. নুরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মো. লুৎফর রহমান, প্রফেসর ড. মো. আব্দুস সালাম, প্রফেসর আবুল কালাম সরকার, প্রফেসর ড. মো. কামরুল আহসান, প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, ড. সোমা মমতাজ, প্রফেসর ড. এফ নজরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মাসুদুল হাসান খান (মুক্তা), প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান পান্নু, প্রফেসর ড. ফজলুল হক, প্রফেসর ড. আমজাদ হোসেন, প্রফেসর ড. শাহেদ জামান।
এছাড়াও রয়েছেন প্রফেসর ড. মতিয়ার রহমান, প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান, প্রফেসর ড. রেজাউল করিম, প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম, প্রফেসর ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান, প্রফেসর ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, প্রফেসর মামুন আহমেদ, প্রফেসর ড. মো. আকতার হোসেন খান, প্রফেসর ড. মো. আবদুর রশিদ, প্রফেসর ড. মো. ইয়ারুল কবির, প্রফেসর ড. সাইফুদ্দিন, প্রফেসর ড. মো. আবদুল করিম, প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মো. আল আমিন, প্রফেসর ড. মো. নসরুল কাদির, প্রফেসর ড. মো. গোলাম হাফিজ কেনেডি, দেবাশীষ পাল, প্রফেসর ড. মো. তোজাম্মেল হোসেন, প্রফেসর ড. মো. মতিনুর রহমান, প্রফেসর ড. মো. ইদ্রিস আলী, প্রফেসর ড. মো. মামুন অর রশিদ, প্রফেসর আনিছুর রহমান, প্রফেসর তালেবুর রহমান, প্রফেসর ড. আবুল হাসনাত মো. শামীম, প্রফেসর তানভীর আহসান, খান মো. মনোয়ারুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ছবিরুল ইসলাম হাওলাদার, প্রফেসর ড. মো. মামুনুর রশিদ, প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, প্রফেসর জাহিদুর রহমান চৌধুরী, প্রফেসর ড. মো. মোশাররফ হোসেন, প্রফেসর ড. জহুর হোসেন এবং প্রফেসর ড. মাসুমা হাবিব।