লিটন দাসের স্ট্রেইট ড্রাইভটি হতে পারত পঞ্চম দিনের সেরা শটের একটি। কিন্তু তার ভাগ্যে জুটল একরাশ হতাশা। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে নিজের বলেই দুর্দান্ত ফিরতি ক্যাচ নিলেন আসিথা ফার্নান্দো। সঙ্গে সঙ্গেই থেমে গেল বাংলাদেশের প্রতিরোধ।
লাঞ্চ বিরতির পরপরই ১০৩ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি ভাঙার শেষে সাকিব আল হাসানও টিকতে পারেনি বেশিক্ষণ। শেষ ৩০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দুইশর আগেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। ২৯ রানের মামুলি লক্ষ্যে দ্রুত পৌঁছে ১০ উইকেটের জয়ের সঙ্গে সিরিজটাও নিজেদের করে নেয় শ্রীলঙ্কা।
ম্যাচশেষে সফরকারী দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা নিরোশান ডিকেভেল্লা জানালেন, ওই ক্যাচটিই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
‘আমাদের ড্রেসিংরুম ধীরস্থিরই ছিল (লাঞ্চ বিরতিতে)। জানতাম, একটি উইকেট দূরে আমরা। একটি উইকেট নিলেই টেলএন্ডাররা চলে আসবে ব্যাটিংয়ে। আমরা চাপ নেইনি। লাঞ্চের পর আসিথা দুর্দান্ত একটি ক্যাচ নেয় (লিটনের), এটিই ছিল টার্নিং পয়েন্ট।’
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিপর্যয়ে শ্রীলঙ্কা এখন বিপর্যস্ত। সেসবের প্রভাব অবশ্য ক্রিকেটে পড়েনি, দাবি ডিকেভেল্লার। তবে এই জয় দেশের মানুষের মনে কিছুটা আনন্দ দেবে বলেই ধারণা তার।
‘আমরা এখানে ক্রিকেট খেলতে এসেছি, দেশে আর সবকিছু পেছনে ফেলেই এসেছি। আমাদের চাওয়া ছিল ভালো ক্রিকেট খেলা এবং সিরিজ জয় করা। তবে অবশ্যই এটি দেশের মানুষের জন্য একটি প্রাপ্তি হবে, দেশ এখন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার জন্য এটা ভালো।’