ক্রীড়ামন্ত্রী হওয়ার পর সকল ফেডারেশনকে নিয়েই আলাদাভাবে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন নাজমুল হাসান পাপন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোন খেলাগুলোকে নিয়ে মনোযোগ বেশি দিতে হবে, সেটি নিয়েও ভাবছেন। অর্ধশতাধিক ফেডারেশনের ভেতর সবচেয়ে বেশি মনোযোগ ফুটবলকেই দেয়া হবে, সেটি খোলামেলাভাবেই বললেন।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে দেখতে তার বাসায় যান ক্রীড়ামন্ত্রী। মঙ্গলবার বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে অবস্থিত সেই বাসা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। এ সময় ফুটবল নিয়ে নিজের অভিমত প্রকাশ করেন।
‘মনোযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে সবার আগে অবশ্যই ফুটবল আসবে। এর চেয়ে জনপ্রিয় খেলা তো আর নেই। স্বাভাবিকভাবেই ফুটবলটা সবার আগে আসবে। প্রথম চেষ্টাই করতে হবে ফুটবলটাকে নিয়ে কিছু করা যায় কিনা। আমি বলছি না, সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু চেষ্টা তো করতে হবে। আমার ইচ্ছাটা হচ্ছে, চেষ্টা করে দেখি। আমাদের যদি মনে হয় ফুটবল ফেডারেশনের কথাগুলো যৌক্তিক এবং আমাদের পক্ষে করা সম্ভব মনে হয়, সেগুলোই করার অঙ্গীকার করব। একটা কিছু প্রতিজ্ঞা করে যদি পূরণ করতে না পারি, তাহলে তো বলে লাভ নাই।’
‘ক্রিকেট ছাড়া আমাদের মোট ৫৫টার মতো ফেডারেশন। অনেক ফেডারেশন আছে , এগুলো নিয়ে যদি বাংলাদেশের সবাইকে জিজ্ঞেস করেন, তাহলে দেখবেন ৯৫ শতাংশ মানুষ এসবের নামই শোনেনি। ওগুলো নিয়ে আমরা যতই চেষ্টা করি, কিছু তো করতে পারব না। মানে আহামরি কিছু করতে পারব না। কিছু ফেডারেশনকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হইবে। বের করতে হবে কোন খেলাগুলোকে আমাদের মনোযোগ দেয়া দরকার। ’
ফুটবলে মেয়েদের ভালো পারফরম্যান্সের প্রশংসাও করেন নাজমুল হাসান। সাবিনা-মারিয়াদের নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কন্ঠে বলেন, ‘এই যে মেয়েরা এত ভালো খেলছে ফুটবলে, এটাও তো বড় ব্যাপার। আমি নিশ্চিত, কোথাও যদি বলি মেয়েদেরকে স্পন্সর করার জন্য, কোনো অভাব হবে না।’
অতীতে ফুটবল ও হকিসহ বিভিন্ন খেলায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দল বানিয়ে অংশ নিতো। এখন আর তাদের প্রতিযোগিতায় অংশ না নেয়ার বিষয়ে ক্রীড়ামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে নাজমুল হাসানের ভাষ্য, ‘আমি এখনো সমস্যার মূল জায়গাটায় আছি। উনাদের মূল সমস্যাগুলো আগে শুনছি। সব শুনে আমাকে একটু স্টাডি করতে হবে। যে সমস্যাগুলো বলছে, এটা নিয়ে কিছু করা যায় কিনা, সম্ভব কিনা, তা দেখছি। সমাধানের সময়সীমা ঠিক করতে হবে। যারা অংশগ্রহণ করছিল, আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছে। আমার ধারণা তাদেরকে আনাটা খুব কঠিন ব্যাপার না। সবকিছু নির্ভর করে আসলে… ওদের আগ্রহ ও আত্মবিশ্বাসটা বাড়াতে হবে।’