টেস্টে এক ইনিংসে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটা নিউজিল্যান্ডের হলেও তালিকায় পরের চারটি সাউথ আফ্রিকার। ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে জিতলেও সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বিধ্বস্ত হয়েছে প্রোটিয়ারা। ৫৫ রানেই গুটিয়ে গেছে তাদের ইনিংস। এ নিয়ে টেস্টে ১৫ ইনিংসে শতরানের আগে অলআউট হয়েছে সাউথ আফ্রিকা। যদিও শতরানের আগে আউট হওয়ার তালিকায় প্রোটিয়াদের অবস্থান চারে। সর্বোচ্চ ২৩ ইনিংসে বিধ্বস্ত হয়েছে ইংল্যান্ড। আর দুইয়ে অস্ট্রেলিয়া, তাদের ইনিংস সংখ্যা ২০। ১৭ ইনিংস নিয়ে তিনে নিউজিল্যান্ড।
কেপটাউনে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ সিরাজের দাপুটে বোলিংয়ে ২৩.২ ওভারে মাত্র ৫৫ রানে অলআউট হয়েছে প্রোটিয়ারা। এই মাঠে প্রোটিয়াদের তৃতীয় সর্বনিম্ন রানে আউট হওয়ার ঘটনা এটি। এর আগে ১৮৯৯ সালে ৩৫ রানে গুটিয়ে যায় তারা। দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ৪৩ রান, ১৮৮৯ সালে। দুবারই প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বল হাতে ঝড় তুলেছেন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। ৯ ওভার বল করে মাত্র ১৫ রান দিয়ে একাই ৬টি উইকেট শিকার করেছেন তিনি। মেডেন নিয়েছেন তিনটি। সিরাজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং এটি। এর আগে দুবার ফাইফার পূর্ণ করেছিলেন এই ডানহাতি পেসার। ভারতের হয়ে বাকি চারটির মধ্যে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন জাসপ্রীত বুমরাহ ও মুকেশ কুমার।
দলীয় ৫ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় সাউথ আফ্রিকা। এরপর ১৫ রানের মাথায় ৪ উইকেট ছিল না প্রোটিয়াদের। একে একে সাজঘরে ফেরেন চার টপঅর্ডার এইডেন মার্করাম (১০ বলে ২), ডিন এলগার (১৫ বলে ৪), টনি ডি জর্জি (১৭ বলে ২) ও ত্রিস্তান স্টাবস (১১ বলে ৩)।
খানিক বিরতি দিয়ে পঞ্চম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দলীয় ৩৪ রানে সাজঘরে ফেরেন ডেভিড বেডিংহ্যাম (১৭ বলে ১২)। এরপর স্কোরকার্ডে ১২ রান যোগ করতে গিয়ে হারায় আরও তিন ব্যাটারকে। এদের মধ্যে কাইল ভেরাইনি ৩০ বলে সর্বোচ্চ ১৫ রান করেন। মার্কো জানসেন ৩ বলে ০, কেশভ মহারাজ ১৩ বলে ৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যান।
এরপর ৫৫ রানে বাকী দুই ব্যাটারকে হারিয়ে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়াদের ইনিংস। নান্দ্রে বার্জার করেন ১১ বলে ৪ রান ও কাগিসো রাবাদা করেন ১৩ বলে ৫ রান।