টাঙ্গাইলে ১৯৯৬ সালে ছোট বোনকে মারতে গিয়ে মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দীর্ঘ ২৭ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ছেলে বাদশা মিয়াকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা করলে তার অনুপস্থিতেই আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
রোববার (২ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে ঢাকার আশুলিয়া থানার কান্দাইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব-১৪) এর সদস্যরা। বাদশা মিয়া কালিহাতী উপজেলার কালোহা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে।
টাঙ্গাইল র্যাব-১৪ সিপিসি-৩ এর কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের রোববার দুপুরে প্রেসব্রিফিং করে জানান, ১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাদশা মিয়ার সাথে ছোট বোন কহিনুর বেগমের ঝগড়া বাধে। এ নিয়ে বাদশা মিয়া তার বোনকে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে যান। একপর্যায়ে তার মা তমিরন নেছা লাঠিটি কেড়ে নেন। পরে বাদশা মিয়া ঘর থেকে দা নিয়ে ছোট বোনকে কোপ দিতে গেলে তার মা কোহিনুরকে জাপটে ধরলে বাদশা মিয়ার দায়ের কোপ তার মায়ের শরীরে লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মায়ের মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরপরই বাদশা মিয়া বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে এ ঘটনায় পুলিশ একটি হত্যা মামলা করে। ২০০৪ সালের ১৮ ফ্রেব্রুয়ারি অতিরিক্ত প্রথম জেলা ও দায়রা জজ আদালত বাদশা মিয়াকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার তাকে ঢাকার আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিকেলে আদালতে মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন র্যাবের এই অধিনায়ক।