মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন একরাতে নৌ বাহিনীর ভয়ংকর একটি অভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নামে খ্যাত। সেই রাতের ঘটনা কেন্দ্র করে নির্মিত হতে যাওয়ায় ছবিতে অনন্ত জলিলের সঙ্গে সিয়ামের নাম এসেছে! তবে এই অভিনেতা স্পষ্ট জানালেন, তিনি ‘অপারেশন জ্যাকপট’ ছবিটি করবেন না!
দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, বহু নাটকীয়তার পর বহুল আলোচিত ‘অপারেশন জ্যাকপট’ ছবিটি করার দায়িত্ব পেয়েছেন কলাকাতার ‘পাগলু’ খ্যাত নির্মাতা রাজীব বিশ্বাস। আর এই ছবিতে থাকবেন বাংলাদেশের দশজন নায়ক। রয়েছেন অনন্ত জলিল, সিয়াম, রিয়াজ, বাপ্পী, সাইমন, নিরব, ইমন, সজল, রোশান ও জয় চৌধুরী। তাদের মধ্যে সাতজন চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন!
কিন্তু সিয়াম তার ফ্যান পেজে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন ভিন্নকথা! তিনি বলেন, ‘অপারেশন জ্যাকপট’ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গৌরবের জায়গা। আমি অবশ্যই এই বিষয়ে সিনেমা নির্মিত হলে এর অংশ হতে চাইবো। কিন্তু সবার আগে আমি দেখব স্ক্রিপ্ট কেমন, নির্মাতা কে, প্রডিউসার কারা!
“পরিচালক রাজীবদার সাথে আমার হাই-হ্যালো হয়েছিল, স্ক্রিপ্ট নিয়ে বসতে চেয়েছিলেন তিনি; আমার শুটিংয়ে ব্যস্ততার কারণে সেই মিটিংটাই হয়নি। এরপর প্রডিউসারের সাথেও আমার কথা হয়েছে, সেখানে স্পষ্ট করে আমি জানিয়ে দিয়েছি যে এই সিনেমায় আমি অভিনয় করছি না। এরপরও কীভাবে কাস্টিংয়ে চূড়ান্ত তালিকায় আমার নাম থাকে, সেটিই আমার বোধগম্য না।” বলছিলেন সিয়াম।
দীর্ঘদিন যাবত নতুন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন না সিয়াম। তবে ওটিটিতে সরব হয়েছেন এই অভিনেতা। তিনি বলেন, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কোনো সিনেমার সাইনিং করিনি। দর্শকদের জন্য নতুন কিছু নিয়ে আসতে চাই বলেই এই বিরতি। কাজেই দর্শকদের অনুরোধ করবো এমন উড়ো খবরে কখনও বিশ্বাস করবেন না। কোনো সিনেমা সাইন করলে অবশ্যই আমি নিজ থেকেই আপনাদের জানাবো।
আগামি বছরের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ছবিটি মুক্তি দিতে চান বলেও দৈনিকের ওই প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানিয়েছেন রাজীব বিশ্বাস।
‘অপারেশন জ্যাকপট’ নিয়ে ছবি নির্মাণে প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিল নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। প্রায় আড়াই বছর ধরে নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিম চিত্রনাট্য তৈরি করেন। এমনকি প্রাক প্রস্তুতিও শুরু করেছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সিনেমাটি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলেন। গত কয়েক বছরে এ নিয়ে অসংখ্য প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। পুরো প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৩ কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
কিন্তু আচমকা গত বছর জানা যায়, ছবিটি নির্মাণের দায়িত্ব পড়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওপর। নতুন করে এখানে আবার দরপত্র আহ্বান করা হয়। তখন ছবিটি নির্মাণের কাজটি পায় কিবরিয়া ফিল্মস। গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘আশীর্বাদ চলচ্চিত্র’ দরপত্র থেকে ছিটকে পড়ায় তখন বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল।