শুধু বাংলাদেশ নয়, দুই বাংলার বাংলা ভাষাভাষীদের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকা বলা হয় শাকিব খানকে! এবার তিনি আরব আমিরাত সরকারের কাছ থেকে বিরল সম্মাননা পাচ্ছেন।
ক্রিয়েটিভ কালচার ক্যাটাগরিতে আরব আমিরাতের কালচারাল মিনিস্ট্রি থেকে প্রথম বাংলাদেশি তারকা হিসেবে শাকিবকে গোল্ডেন ভিসার রিকমেন্ডেশন দিয়েছে।
গেল ১৮ এপ্রিল এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তবে এতো বড় অর্জন বরাবরের মতো নিজের কাছেই রেখেছিলেন শাকিব খান। তবে শনিবার বিকেলে বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন শাকিবের মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘দরদ’ ছবির পরিচালক অনন্য মামুন।
তিনি জানান, আরব আমিরাতের কালচারাল মিনিস্ট্রিতে আবেদনের ভিত্তিতে শাকিব খানকে বাংলাদেশি ও পশ্চিমবঙ্গের তারকাদের মধ্যে প্রথম গোল্ডেন ভিসা প্রাপ্তির সম্মনান দিচ্ছেন! কিছুদিনের মধ্যে শাকিব খান দেশটিতে গিয়ে এই সম্মাননা গ্রহণ করবেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞান, শিল্প, সংস্কৃতি, ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্যের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা, পেশাদার, গবেষক এবং অসামান্য শিক্ষার্থীদের জন্য গোল্ডেন ভিসা দেওয়া হয়। দেশটি গত কয়েক বছরে সিনেমা, খেলাধুলা এবং বিনোদনের ক্ষেত্রের বিখ্যাত কিছু ব্যক্তিত্বকে গোল্ডেন ভিসা দিয়েছে।
এই ভিসার অধীনে তারকারা সেখানে দীর্ঘ সময় থাকতে পারবেন এবং সেইসঙ্গে তার পরিবার নানা সুযোগ সুবিধা পাবে। তাদের কাজ করতে এবং সেখানে দীর্ঘছুটি কাটাতে কাগজপত্র করতে হবে না।
বলিউড সেলিব্রেটি যাদের কাছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসা রয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান, সঞ্জয় দত্ত, কমল হাসান। এবার একই ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের গোল্ডেন ভিসা পেলেন শাকিব খান।
এই প্রক্রিয়াটি সুপারভিশন করেছেন পরিচালক অনন্য মামুন। তিনি চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, এটা আমাদের দেশের জন্য বড় সম্মানের। এতদিন আরব আমিরাতের কালচারাল মিনিস্ট্রি অবগত ছিলেন যে বাংলাদেশের শাকিব খানের মতো মেগা সুপারস্টার আছে। তারা শাকিব খানের ফেস ভ্যালু, জনপ্রিয়তা, প্রোপার্টি সবকিছু যাচাই করে তাকে গোল্ডেন ভিসা দিতে যাচ্ছে এবং ৩০ কোটি বাঙালির সবচেয়ে পপুলার সুপারস্টার হিসেবে কাউন্ট করছে। এটা শুধু শাকিব ভাইয়ের জন্য না, বাংলাদেশের সকল আর্টিস্টদের জন্য অত্যন্ত সম্মানের বিষয়।