দুই গোলে পিছিয়ে পড়া জুভেন্টাস ম্যাচের শেষ মুহূর্তে জিতেই যাচ্ছিল! যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে আরকাদিউস মিলিক হেডে গোল করে জয়ের উৎসবে মেতে জার্সিটাও খুলে ফেলেন। নিয়ম বিরুদ্ধ উদযাপন করায় রেফারি তাকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডে লাল বানিয়ে মাঠ থেকে বের হওয়ার নির্দেশ দেন।
নাটকের তখনও বাকি। রেফারি ভিএআরের সাহায্য নিয়ে অফসাইডের কারণে মিলিকের গোলটাও বাতিল করে দেন। তাতে মাঠের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কলম্বিয়ান মিডফিল্ডার হুয়ান কুয়াদ্রাদোর পাসে বল জালে জড়িয়েছিলেন মিলিক। গোল বাতিল হওয়ার পর কুয়াদ্রাদো ও প্রতিপক্ষ সালেরনিটানার আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার ফেদেরিকো ফ্যাজিও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। রেফারি দুজনকেই লাল কার্ড দেখাতে বাধ্য হন। খেলাও খানিকক্ষণ বন্ধ থাকে।
রোববার রাতে আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে সিরি আ’র ঘটনাবহুল জুভেন্টাস ও সালেরনিটানার ম্যাচটি শেষঅবধি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। মৌসুম বাজেভাবে শুরু করা তুরিনের বুড়িরা ঘরের মাঠে পয়েন্ট নষ্ট করায় টেবিলের আটে আছে। ৬ ম্যাচে পয়েন্ট ১০। দশে সালেরনিটানার, পয়েন্ট ৭।
খেলার ১৮ মিনিটে অ্যান্টনিও ক্যান্দ্রেভার গোলে লিড পায় সালেরনিটানা। দুই মিনিট পর জুভ স্ট্রাইকার দুসান ভ্লাহোভিচ বল জালে জড়ালে অফসাইডে তা বাতিল হয়। স্বাগতিকরা তখন সমতায় ফিরতে পারেনি। বিরতির আগে যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অতিথিদের ক্রিজিস্টফ পিয়াটেক।
ম্যাচের ৫১ মিনিটে ফিলিপ কস্টিকের ক্রসে বল পেয়ে হেডে নিশানাভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার গ্লেসন ব্রেমের। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে লিওনার্দো বোনুচ্চির স্পট কিক ঠেকিয়ে দেন সালেরনিটানার গোলরক্ষক। ফিরতি বলে বাঁ-পায়ের শটে গোল করে জুভেন্টাসকে সমতায় ফেরান বোনুচ্চি।
তারপর মিলিকের নাটক। ৯৬ মিনিটের ওই হলুদের আগে ৮৩ মিনিটে প্রথমবার হলুদ কার্ড দেখে লালের ঝুঁকিতেই ছিলেন তিনি। জার্সি খুলে যার ষোলোকলা পূর্ণ করেছেন!