লেবাননে অবস্থানরত সৌদি নাগরিকদের লেবাননে সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়েছে কিংবা চলছে এমন এলাকা এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছে লেবাননের সৌদি দূতবাস। এছাড়াও নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব নিজ দেশ সৌদি আরব ফিরে যাওয়ার জন্যও আহ্বান জানিয়েছে দূতবাস।
শনিবার ৫ আগস্ট কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, শুক্রবার সৌদি সংবাদ সংস্থা এসপিএ এই তথ্য নিশ্চিত করে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টের মাধ্যমেও এই তথ্য প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি দূতাবাস ‘লেবাননে নাগরিকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার গুরুত্ব’ দিচ্ছে।
এছাড়াও এক্স-এ পোস্ট করার মাধ্যমে কুয়েতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও নিজ দেশের নাগরিকদের লেবাননে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। শনিবার সকালের ওই পোস্টে নাগরিকদের লেবাননে চলাফেরার ক্ষেত্রে ‘সতর্ক থাকার’ আহ্বান জানান। এছাড়াও ‘নিরাপত্তা বিঘ্নের ক্ষেত্রগুলো’ এড়িয়ে চলারও আহ্বান জানানো হয়। তবে দেশত্যাগের কথা এখন আর বলছে না কুয়েত সরকার।
এর আগে ১ আগস্ট লেবাননের জন্য ভ্রমণনীতি আপডেট করে যুক্তরাজ্য। লন্ডন জানায়, অতিপ্রয়োজন না হলে লেবাননের দক্ষিণের আইন এল-হিলওয়েহ শিবিরের কাছে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
শিবিরের নিরাপত্তা জানায়, শিবিরে প্রয়াত ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাতের রাজনৈতিক দল- ফাতাহ এবং কট্টর উগ্রপন্থিদের মধ্যে ২৯ জুলাই শুরু হওয়া লড়াইয়ে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই জঙ্গি বলে জানানো হয়।
ফিলিস্তিনের শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা অনুসারে, আইন এল-হিলওয়েহ লেবাননের ১২টি ফিলিস্তিনি শিবিরের মধ্যে সবচেয়ে বড়। লেবাননে অবস্থানরত আড়াই লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থীর মধ্যে অন্তত ৮০ হাজারের বাস এই শিবিরে।