ফরচুন বরিশালের কাছে হেরে আসর শুরু করেছিল রংপুর রাইডার্স। দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারালেও তৃতীয় ম্যাচে হেরে যায় খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সাকিব-সোহানদের। জয়ের ধারা ছিল অব্যাহত। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ১৮ রানে হারিয়ে টানা পেয়েছে সপ্তম জয়। পাশাপাশি দুই ম্যাচ হাতে রেখে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে তিস্তা পাড়ের দলটি।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেন রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৮৭ রানের সংগ্রহ গড়ে তারা। জবাবে ৬ উইকেটে ১৬৯ রানে থামে চট্টগ্রামের ইনিংস।
এ নিয়ে ১০ ম্যাচে ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ নিশ্চত করেছে রংপুর। রয়েছে টেবিলের শীর্ষেও। একম্যাচ কম খেলে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে তিনে বরিশাল। একম্যাচ বেশি খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে চারে খুলনা। আর ১০ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে পিছিয়ে পাঁচে অবস্থান চট্টগ্রামের।
রংপুরের ১৮৭ রানের পথে ঝলক দেখিয়েছেন সাকিব আল হাসান। খেলেছেন সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। তিন ছক্কা ও পাঁচ চারে ৩৯ বলে ৬২ রান করে ফিরেছেন শেইফার্ডের শিকার হয়ে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেছেন শেখ মেহেদী। ১৭ বলের ইনিংসে ছিল চারটি ছক্কার মার। ওপেনার রনি তালুকদার করেছেন ১৯ বলে ২৫ রান। এছাড়া শামীম হোসেন করেন ৯ বলে ১৭ রান।
চট্টগ্রামের হয়ে রোমারিও শেইফার্ড নেন তিন উইকেট। সালাউদ্দিন শাকিল ও শহীদুল ইসলাম নেন দুটি করে উইকেট।
জবাবে চট্টগ্রামের শুরুটা ভালো হয়নি। ধারাবাহিক ভাবেই হারিয়েছে উইকেট। শেষের শেইফার্ড ঝড় তুললেও দলকে জয়ের স্বাদ দিতে ব্যর্থ হন। ছয়টি ছক্কা ও পাঁচটি চারে ৩০ বলে ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।
দলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছেন টম ব্রুস। ২৪ বলে ২৪ রান করেন তিনি। এছাড়া শুভাগত হোম ১৯ বলে ২১ রান ও জিয়াউর রহমান ১৫ বলে ১৫ রান করেন।
রংপুরের হয়ে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস নেন তিন উইকেট। শেখ মেহেদী নেন দুটি, এছাড়া হাসান মাহমুদ নেন এক উইকেট।