গত তিন আসরে যেন বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের উপর ভর করেছিল অদৃশ্য কোনো নিয়তি। ট্রফি উঁচিয়ে ধরার পরেরবার গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নেয়াটা হয়ে উঠেছিল অনিবার্য পরিণতি। সেই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে গেছে ফ্রান্স। প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী ইংল্যান্ড।
পরিসংখ্যান বলছে, ফ্রেঞ্চদের বিপক্ষে আধিপত্য ইংলিশদের। ৩১ বারের দেখায় ১৭ বারই জিতেছে ইংলিশ থ্রি-লায়ন্সরা। ৯ বার জিতেছে ফ্রান্স। দুদলের ম্যাচ ড্র হয়েছে ৫ বার।
বিশ্বকাপের ইতিহাসটাও বর্তমান শিরোপাধারীদের জন্য বেশ তিক্ত। ঘরের মাঠে ১৯৬৬’র আসরে গ্রুপ পর্বের খেলায় ফ্রান্সকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল ইংলিশরা, সেবারের শিরোপাও জেতে ইংল্যান্ড। ১৯৮২ বিশ্বকাপে দল দুটি আবারও গ্রুপপর্বে মুখোমুখি হয়। মিচেল প্লাতিনির ফ্রান্স ৩-১ গোলে ইংলিশদের কাছে হেরে যায়।
অবশ্য ফিফা র্যাঙ্কিং দিচ্ছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস। বর্তমানে চার নম্বরে ফ্রান্স। ইংল্যান্ড ঠিক তাদের পরের ধাপে, অর্থাৎ পাঁচে। দুদলের সাম্প্রতিক তফাৎটা সামান্যই!
পাঁচ গোল করে গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে এবার এগিয়ে কাইলিয়ান এমবাপে। দুদলের ভেতর ব্যবধান গড়ে দিতে তিনি যথেষ্ট। ২ গোল করা অলিভিয়ের জিরুদ জ্বলে উঠলে ইংল্যান্ডের ৫৬ বছরের অপেক্ষা ছয় দশকে পরিণত হতে পারে।
বুকায়ো সাকার পারফরম্যান্সের উপর থ্রি-লায়ন্সদের অনেকটা নির্ভর করতে হতে পারে। সঙ্গে মার্কাস র্যাশফোর্ড জ্বলে উঠলে হবে বড় পাওয়া। ইংল্যান্ডের এ দুই ফুটবলার ৩টি করে গোল করেছেন এবার।
বাংলাদেশ সময় গত রাত ১টায় আল বাইত স্টেডিয়ামে লড়াই। দিদিয়ের দেশমের দলের থাকবে পরিসংখ্যানকে ভেস্তে দেয়ার প্রত্যয়, আর অতীতের পুনরাবৃত্তি চাইবে গ্যারেথ সাউথগেটের দল।