গত অর্থবছরের হিসাবে বাংলাদেশের মানুষের গড় মাথাপিছু আয় বেড়েছে ২০৩ মার্কিন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে চূড়ান্ত হিসাবে গড় মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে দু’হাজার ৭৯৩ মার্কিন ডলার। যা গত অর্থবছরের রেকর্ড দু’হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলার থেকে বেড়েছে।
রোববার ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পক্ষ থেকে মোট দেশজ উৎপাদন এবং মাথাপিছু আয়ের চূড়ান্ত হিসাব দেওয়া হয়েছে।
বিবিএস থেকে বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা কাটিয়ে গত অর্থবছরে (২০২২ অর্থবছর) দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ৭.১০ শতাংশে পৌঁছেছে।
২০২১ অর্থবছরে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২০ অর্থবছরে ৩.৪৫ শতাংশ থেকে ৬.৯৪ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৯ অর্থবছরে দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭.৮৮ শতাংশ।
বিবিএস-এর দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২২ অর্থবছরে দেশে মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ ছিল ২,৭৯৩ মার্কিন ডলার, যা ২০২১ অর্থবছরে ২,৫৯১ মার্কিন ডলার থেকে বেড়েছে। ২০২০ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২,৩২৬ মার্কিন ডলার। যা ২০১৯ অর্থবছরে ছিল ২,২০৯।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার খুবই ভালো। বর্তমান বৈশ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে তিনি এটিকে ‘অসামান্য বলে অভিহিত করেছেন।
বিবিএসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ২০২২ অর্থবছরে স্থিতমূল্যে বাংলাদেশের জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৩ লাখ ৫১ হাজার ৪৯৬ মিলিয়ন টাকায়, যা ২০২১ অর্থবছরে ছিল ২ কোটি ৮৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৪ মিলিয়ন টাকা।
স্থিতমূল্যে জিডিপির খাতে শেয়ার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সেবা খাত এখনও ৫১ দশমিক ৪৮ শতাংশ, শিল্প খাত ৩৬ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং কৃষি খাত ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ নিয়ে সিংহভাগ ভোগ করছে।
যদি স্থিতমূল্যে জিডিপির খাতগত প্রবৃদ্ধির হার বিবেচনা করা হয়, তবে শিল্প খাত গত অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৯.৮৬ শতাংশর বৃদ্ধি পেয়েছে, তারপরে সেবা খাতে ৬.২৬ শতাংশ এবং কৃষি খাতে ৩.০৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
বিবিএসের পরিসংখ্যান আরও দেখিয়েছে গত অর্থবছরে জিডিপিতে বিনিয়োগের অনুপাত বেড়েছে ৩২.০৫ শতাংশে, যা ২০২১ অর্থবছরে ছিল ৩১.০২ শতাংশ । এর মধ্যে জিডিপিতে বেসরকারি বিনিয়োগের অনুপাত বেড়েছে ২৪.৫২ শতাংশ এবং সরকারি বিনিয়োগের অনুপাতও গত অর্থবছরে ৭.৫৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।