পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার সুপার ফোরের শেষ ম্যাচটি ছিল শিরোপার মঞ্চের ‘পোশাকি মহড়া’ তথা, ফাইনালের জন্য পাথেয় গোছানোর লড়াই। এশিয়া কাপ থেকে ভারত ও আফগানিস্তানের আগেভাগেই বিদায়ে নিয়মরক্ষার বনে যাওয়া ম্যাচে বাবর আজমের দলকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে দাসুন শানাকার দল।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিরোপার মঞ্চে যাওয়ার আগে ব্যাট-বলে দুর্দান্ত পারফর্ম করে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান হাসারাঙ্গার তোপে তুলতে পারে সবে ১২১ রান। যা ১৮ বল হাতে রেখে পেরিয়ে যান নিশাঙ্কা-শানাকারা।
এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের আসরে সুপার ফোরের সব কয়টি ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সেরা হয়েছে লঙ্কান দল। ১১ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে শিরোপা লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ থাকবে পাকিস্তান। ভারত ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটা বাবর আজমরা সুপার পর্বে জমাতে পেরেছে ৪ পয়েন্ট।
ফাইনালের মহড়ার দিনে ছোট লক্ষ্যে নিজেদের ভালোই মেলে ধরেছে শ্রীলঙ্কা। পাথুম নিশাঙ্কার অপরাজিত ফিফটি, রাজাপাকসে ও অধিনায়ক শানাকার ক্যামিও ইনিংসে বড় জয় পেয়েছে। জবাব দিতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। স্কোরবোর্ডে ২ রান তুলতেই হারাতে হয়েছে শুরুর দুই উইকেট।
কুশল মেন্ডিস ও ধানুষ্কা গুনাথিলাকা শূন্য রানে ফেরার পর ডি সিলভাও হয়েছেন ব্যর্থ। ২৯ রানে শুরুর ৩ উইকেট হারানো দলের চাপ কাটান রাজাপাকসে। খেলেন ১৯ বলে ২৪ রানের ইনিংস। পরে কাজটা আরও সহজ করে দেন অধিনায়ক শানাকা। ১৬ বলে ২১ রান করে ফিরলেও ম্যাচ শ্রীলঙ্কার হাতের মুঠোয় রেখে যান।
বাকি পথ মোহাম্মদ হাসনাইন-হারিস রউফদের বিপক্ষে সহজেই উতরে নেন ওপেনার নিশাঙ্কা ও হাসারাঙ্গা। ৪৮ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন নিশাঙ্কা। শেষদিকে ৩ বলে ২ চারে ১০ রান করেন হাসারাঙ্গা।
পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন হাসনাইন ও রউফ।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটামুটি ঠিকঠাক করেছিল পাকিস্তান। দলীয় ২৮ রানে রিজওয়ানকে হারানোর পর বাবরকে সঙ্গ দেন ফখর জামান। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে যোগ করেন ৩৫ রান। ১৮ বল খেলে ১৩ রানে ফখর ফেরেন করুনারত্নের বল সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে।
একাদশ ওভারে বাবর আজমকে বোল্ড করেন ভানিডু হাসারাঙ্গা। ২৯ বলে ৩০ রান করতে দুটি চার মেরেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। এরপর ৩১ রানের ব্যবধানে আরও ৪ উইকেটে হারায় বাবরের দল। পরপর দুই বলে ইফতেখার আহমেদ ও আসিফ আলীকে বোল্ড করেন হাসারাঙ্গা।
৯৫ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারানো পাকিস্তানকে ম্যাচের শেষদিকে পথ দেখান মোহাম্মদ নেওয়াজ। ১৮ বলে ২৬ করে তিনি ফিরলে ১২১ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন ধসানোর প্রধান কারিগর ছিলেন হাসারাঙ্গা ও থিকশানা। দুই স্পিনার মিলে নিয়েছেন মোট ৫ উইকেট। দুই উইকেট নিয়েছেন অভিষিক্ত প্রমোদ মাদুশান।