২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ভারত। এ আয়োজন ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন করতে পারলে ভারতের অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখবে। ভারতের ব্যাংক অব বারোদার অনুমান, বৈশ্বিক আসরটি থেকে প্রায় ২২ হাজার কোটি ভারতীয় রুপি আয় করবে দেশটি।
দেশটির অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, বিশ্বকাপ ভারতের মূল্যস্ফীতির কারণ হতে পারে এবং একইসাথে সরকারের কোষাগারকে সমৃদ্ধ করতেও সহায়তা করতে পারে। ভারত সরকারের কোষাগার সমৃদ্ধ করলে সামগ্রিকভাবে এর পরিমাণ হবে ২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২২০ বিলিয়ন ভারতীয় রুপি।
অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন এবারের বিশ্বকাপ ২০১৯ সালের চেয়ে বেশি মানুষ দেখবে। ওই বিশ্বকাপ ৫৫২ মিলিয়ন মানুষ দেখেছিল। ভারতে এবার টেলিভিশন এবং স্ট্রিমিং প্লাটফর্মগুলোর রেকর্ড সেটি ছাড়িয়ে যাবে। টিভিস্বত্ব ও স্পন্সরশিপ মিলে ১০৫-১২০ মিলিয়ন আয় করবে বলে তাদের আশা। বিশ্বকাপ উপলক্ষে বিজ্ঞাপনের প্রতি সেকেন্ডে গ্লোবাল জায়ান্ট ব্যয় করবে ৩৬০০ মার্কিন ডলার।
বৃহস্পতিবার ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসরটি শুরু হয়েছে, চলবে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। অর্থনীতিবিদ জাহ্নবি প্রভাকর এবং অদিতি গুপ্তা বুধবার লিখেছেন, এ সময় দেশীয় এবং বিদেশি প্রচুর পর্যটক ১০টি শহরে ভ্রমণ করবে যার বেশিরভাগ সুফল পাবে ভ্রমণ এবং আতিথেয়তার সেক্টরগুলো।
ওই অর্থনীতিবিদরা বলছেন বিশ্বকাপ এমন সময় শুরু হল, যে সময় ভারতে প্রায় তিন মাসব্যাপী উৎসব চলবে। যার শুরু হয়েছে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি। এ সময় খুচরা জিনিসপত্রের পাশাপাশি ‘আবেগের সাথে জড়িত’ পণ্যগুলোর বিক্রিও বেড়ে যাবে। তবে তাদের মতে, অক্টোবর-নভেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি ০.১৫-২৫ শতাংশ বেড়ে যাবে।