অস্ট্রেলিয়াকে বিধ্বস্ত করে বিশ্বকাপে দারুণ শুরু করেছে ‘হট-ফেভারিট’ ভারত। ২০০ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়ায় অবশ্য দুই রানে তিন উইকেট হারিয়ে মহাবিপদেই পড়েছিল স্বাগতিক দলটি। ধাক্কা সামাল নেন বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল। ওরকম পরিস্থিতিতে কি কথা হয়েছিল দুজনের?
বিরাট কোহলির (৮৫) সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১৬৫ রানের জুটি গড়ে ভারতের জয় সহজ করে দেন লোকেশ। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ১১৫ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৯৭ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
ম্যাচসেরা হওয়া ৩১ বর্ষী লোকেশের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ক্রিজে কোহলির সঙ্গে কি কথা হচ্ছিল। পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে হাসিমুখেই তিনি কৌতূহল মিটিয়েছেন।
‘সত্যি বলছি, খুব বেশি কথা হয়নি। আমি গোসল করার সময় নিঃশ্বাস নেয়ার চেষ্টা করছিলাম। আমি ভেবেছিলাম আধা ঘণ্টা কিংবা এক ঘণ্টা ব্যাটিংয়ে নামার আগে বিরতি পাবো। পা উপরে রেখে বিশ্রাম নেবো। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই ড্রেসিংরুমের বাইরে ছিলাম। শুধু নিঃশ্বাস ফেরানোর চেষ্টা করছিলাম।’
জশ হ্যাজেলউড এবং মিচেল স্টার্কের বোলিং তোপে দুই ওপেনার রোহিত শর্মা, ঈশান কিষাণ ও তিনের শ্রেয়াস আয়ার রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ম্যাচে ফিরতে তখন লোকেশকে টেস্ট মেজাজে ব্যাটিংয়ের পরামর্শ দিয়েছিলেন কোহলি।
‘বিরাট বলেছিল উইকেট ব্যাটিং সহায়ক আছে। আমাদের শুধু সঠিক শট খেলতে হবে। কিছু সময়ের জন্য টেস্ট ক্রিকেটের মতো খেলতে হবে। দেখি পরিস্থিতি কোথায় যায়। এটিই মূল পরিকল্পনা ছিল। আমরা দলের জন্য কাজটা করতে পেরে আনন্দিত।’
চেন্নাইয়ের উইকেটে রানতাড়া করতে নামা ভারতের জন্য শিশির পড়ার আগপর্যন্ত ব্যাটিং করা কঠিন ছিল বলে জানান লোকেশ। তার মতে ব্যাট করার জন্য পিচ খুব সহায়ক ছিল না।
‘আমরা যখন বোলিং করি, তখন নতুন বলে ফাস্ট বোলারদের জন্য পিচ কিছুটা সহায়ক ছিল। পরে স্পিনাররা এসে উইকেট থেকে অনেক সাহায্য পায়। আমি মনে করি শেষ ১৫-২০ ওভারে শিশির ব্যাটিং করার ক্ষেত্রে কিছুটা ভূমিকা রেখেছিল।’
‘ব্যাট করার জন্য এটা দারুণ উইকেট ছিল না, খুব কঠিনও ছিল না। ফ্ল্যাট উইকেট কিংবা বোলারদের জন্য খুব সহায়ক ছিল না। আমি মনে করি, ক্রিকেটের জন্য ভালো উইকেট ছিল। এরকমটা ভারতের দক্ষিণ অঞ্চলে পাবেন।’