সাইদুর রহমান পান্থ: বরিশালের একটি রাজনৈতিক দলের কমিটিতেও নেই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ২০২০ সালে এই বিষয়টি অঙ্গীকার করলেও এখন ক্রমশই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। শুধু রাজনৈতিক দলই নয়, দলের বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটিতেও শর্ত মানা হচ্ছে না।
বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্যর কমিটিতে মাত্র ৩ জন্য রয়েছে নারী সদস্য। একইভাবে বিএনপির ৪৭ সদস্যের কমিটিতে ৪ জন, জাতীয় পার্টির ১২১ সদস্যের কমিটিতে ৯ জন, কমিউনিস্ট পার্টির ১৩ সদস্যের কমিটিতে ২ জন, বাসদের ১৭ সদস্যের কমিটিতে ৪ জন, জাসদের ৫১ সদস্যের কমিটিতে ৫ জন নারী সদস্য রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের ওর্য়াকাস পার্টির ১১ সদস্য’র কমিটি একজনও নারী সদস্য নেই।
বরিশাল উপজেলা পরিষদের অফিসার্স ক্লাবে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
নারী উন্নয়ন ফোরাম ও অপরাজিতা নেটওয়ার্কের আয়োজন সংবাদ সম্মেলনে বাকেরগঞ্জের পাদ্রিশিপপুরের নারী উন্নয়ন ফোরামের তাহমিনা আক্তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, শুধু বরিশালের চিত্র এমন নয়, সারা দেশে একই ভাবে চলছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ২৪ শতাংশের কম নারী নেতৃত্ব রয়েছে। বিএনপির সব পর্যায়ের কমিটিতে ১৫ ভাগ নারী সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাপায় নারী নেতৃত্ব মাত্র ২০ শতাংশ। আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি-জেপিতে নারী নেতৃত্ব ১৬ শতাংশ। এছাড়া অন্যান্য দলের মধ্যে সিপিবিতে ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও জাসদে ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ নারী নেতৃত্ব রয়েছে। এনপিপির ২০ শতাংশ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ৬ শতাংশ, গণতন্ত্রী পার্টিতে ১৫ শতাংশ ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টে ১ শতাংশ নারী নেতৃত্ব রয়েছে। কর্নেল অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলিডিপির) কমিটিতে নারী নেতৃত্ব রয়েছে ২২ শতাংশ। নির্ধারিত সময়সীমার ২২ মাস পার হয়ে গেলেও এই শর্তপূরণের কোন লক্ষণ পরিলক্ষিত হচ্ছে না রাজনৈতিক দলগুলোর।
নারী উন্নয়ন ফোরাম বরিশালের সভাপতি ও গৌরনদী উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন্নাহার মেরি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর শাহ সাজেদা, শ্যামলী সাহা, কহিনুর বেগম, নারী নেত্রী পুষ্প রানী চক্রবর্তী, রাবেয়া বসরী, জাহানারা বেগম, আনোয়ার জাহিদ প্রমুখ।