মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আবারও উঠে এসেছে বাংলাদেশের জন্য মার্কিন ভিসানীতি প্রসঙ্গ। এই প্রসঙ্গে ভিসানীতির কোন পরিবর্তন হয়নি বলে জানান ডিপার্টমেন্টের প্রেস সচিব বেদান্ত প্যাটেল।
স্থানীয়সময় (৫ ফেব্রুয়ারি) সোমবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রেস ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটায়নি’ বলে মার্কিন উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে যারা নির্বাচনকে ক্ষুন্ন করেছে তাদের জন্য থ্রিসি ভিসা নীতির অধীনে ভিসা বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন হবে কি?
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল জানান, ভিসানীতির ক্ষেত্রে নতুন কোন আপডেট বা পরিবর্তন আমার কাছে নেই। শুধুমাত্র নির্বাচন শেষ হওয়ার কারণে এই নীতিগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে না।
প্রশ্নকারী আবারও প্রশ্ন করেন, এখনও এই নীতি বিদ্যমান?
জবাবে প্যাটেল বলেন, হ্যাঁ। এই নীতির কোনো পরিবর্তন নেই।
সাংবাদিক আরেকটি প্রশ্ন করেন, নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আদালতের আরেকটি আদেশে তার বিদেশ ভ্রমণকে সীমিত করছে সরকার। ১২৫ জন নোবেল বিজয়ী সহ ২৪৩ জন বিশ্ব নেতাদের একটি জোট, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারিক হয়রানির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ডিক ডারবিনের নেতৃত্বে ১২ জন দ্বিদলীয় মার্কিন সিনেটর, সমস্ত হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে স্টেট ডিপার্টমেন্ট কীভাবে দেখছে?
জবাবে প্যাটেল বলেন, দেখুন, আমরা অন্যান্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দ্বারা উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সম্ভবত এই মামলাগুলো বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারের অভিযোগে ড. ইউনূসকে ভয় দেখানোর উপায় হিসাবে করা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে ডক্টর ইউনূসের জন্য একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করব। আমাদের আবেদন অব্যাহত থাকবে।