মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রকাশনা প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে মহাসমারোহে বাংলা বর্ষবরণ পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়। ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন, মঙ্গলময় যত তনু-ময়’ স্লোগানকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় বিভিন্ন ধরনের মুখোশ ও রিকশাচিত্রসহ বিলুপ্ত প্রাণী কুমিরের মোটিফও প্রদর্শন করা হয়। লক্ষীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘ’র মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ স্থান পায় শোভাযাত্রায়।
এরপরে এক আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা সবাইকে সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সচেতন করতে পারি। পারিবারিকভাবেই নারী পুরুষ সমতাকরণে, নারীকে মানুষ ভাবার মানষিকতার শিক্ষা দিতে হবে, নতুন প্রজন্মকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবিষয়ে লিখতে হবে, বলতে হবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য প্রদান করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং কর্মচারী সমিতির সভাপতি।
এরপর বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠান, নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও বিকেলে জবি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদ ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠির পরিবেশনা এবং জবি ব্যান্ড মিউজিক এসোসিয়েশনের আয়োজনে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত ব্যান্ড সংগীত পরিবেশিত হয়। এসময় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সকলে আনন্দে নেচে গেয়ে উদ্বেলিত ও উৎফুল্ল হয়ে বর্ষবরণকে আনন্দবহ করে তুলে।
উল্লেখ্য, বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপিত হওয়ার কথা ছিল ১৪ এপ্রিল। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ছিল। সকল শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে পহেলা বৈশাখের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ১৮ এপ্রিল উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।